এন.আই.মিলন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহীদুল ইসলামের বেত্রাঘাতে আহত হয়ে ৩ ছাত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান শিক্ষক মোঃ শহীদুল ইসলাম অষ্টম শ্রেণীর (ক) শাখার বিজ্ঞান ক্লাশ নিতে আসেন। এসময় তিনি রাসায়নিক বিক্রিয়ার বিষয়ে লিখতে বলেন। মরিচা ইউনিয়নের সাতখামার গ্রামের সাজেদুল ইসলামের কন্যা মোছাঃ মমতাজ পারভীন বর্ষা রোল-১৯, একই এলাকার ছিড়াবাজু গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের কন্যা মোছাঃ শান্তা খাতুন রোল-৭০, নিজপাড়া ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের মোঃ জিয়ারুল ইসলামের কন্যা তানজিনা আখতার রোল-(৫৭) না লিখতে পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। তাদের চিৎকারে অন্যান্য শিক্ষকরা ছুটে আসে পাষন্ড শিক্ষকের নিকট হতে তাদের রক্ষা করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জনতা বিদ্যালয় ঘেরাও করে প্রধান শিকের শাস্তি দাবি জানায়। সংবাদপেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মনজুর এবং বীরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুদ্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে ছেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি তাদের সামান্য শাসন করেছি। দু একটা মার দিয়েছি। একজন পিতা হিসেবে কন্যাকে যে ভাবে শাসন করে বিষয়টি তদরুপ।
এলাকাবাসী, আহত ছাত্রীর সহপাঠী ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রীরা জানায়, শহীদুল মাষ্টার অত্যান্ত বদমেজাজী অহংকারী ব্যক্তি। তার হিং¯্রতার সংবাদ পূর্বের সকল শিক্ষাথী, অভিভাবক সহ এলাকাবাসী সকলেই জানে, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষকের পদ পেয়ে নিজেকে সামাল দেওয়াই তার কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি হিমাংসু চন্দ্র বাদল জানান, আমরা পরিচালনা পর্ষদ তাৎক্ষণিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছি। পরে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মনজুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রধান শিক্ষককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত সিদ্ধান্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি আমাকে অবহিত করেছে। আমি ৫সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের পরামর্শ প্রদান করেছি। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।