বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ ক্লিনিকে ডাক্তারের ভুেল প্রসুতির মৃত্যু,সদ্য প্রসুত নবজাতক প্রানে বেঁচে থাকলেও ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ক্লিনিক মালিকের লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স আটক রাখে।
উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব দাড়িয়াপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও তার পিতা আজিমদ্দিন জানান, আনোয়ার এর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুলতানা বেগম (২৫) গত ২৮ জুলাই বিকেলে ননদ বকুল ও স্থানীয় ধাত্রী ঝর্নাকে সাথে নিয়ে আল্ট্রাসোনোগ্রাম সহ শারীরিক চেক-আপ করতে বীরগঞ্জ ক্লিনিকে আসে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ টাকার লোভে উপযুক্ত অভিভাবক ছাড়াই ধাত্রী ঝর্ণার কথামত নিয়ম বহিভর্ৃূত ভাবে তৎক্ষনাত প্রসূতিকে সিজার (অপারেশন) করার প্রস্তুতি নেয় এবং দিনাজপুর সদর হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার মাস্তুুরা বেগমকে সন্ধ্যায় ক্লিনিকে নিয়ে এসে তড়িঘড়ি করে সিজার করা কালে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি সুলতানা’র মৃত্যু হয়। কিন্তু সদ্য প্রস্যুত কন্যা শিশুটি বেঁচে রয়েছে।
অভিভাবক এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ননামতে জানা যায়, অপারেশনের সময় প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে কিন্তু নিজেদের দায় এড়াতে রোগীকে দিনাজপুরে প্রেরণ করা হয়েছে। রাত ১১টায় প্রসুতির লাশ গ্রামের বাড়ীতে আনা হলে এলাকাবাসী ক্লিনিক মালিকের লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে ক্লিনিক ঘেড়াও সহ বিভিন্ন আন্দোলনের হুমকি দেয়। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এমএ খালেক সরকারের ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। অবশেষে আজ বুধবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এমএ খালেক সরকার ইউপি কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবেশ চন্দ্র রায়কে সাথে নিয়ে ক্লিনিক মালিক বেলাল হোসেনের সাথে ১লাখ ৫০হাজার টাকা দফা রফা করে আপোষ মিমাংসার পর লাশটি স্থানীয় সরকারী গোরস্থানে দাফনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ক্লিনিক মালিক ভুল স্বীকার করলেও অভিযুক্ত ডাক্তার মাস্তুুরা বেগম ধরা ছোঁয়ার বাইওে থেকে যায় এবং তিনি ভুলের দায় স্বীকার করতে নারাজ।
এব্যাপারে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। নিহতের পরিবার অভিযোগ করলে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।