আ হ জুবেদঃ কুয়েতে নতুন একটি মেগাসিটি তৈরির জন্য দুটি দ্বীপ অঞ্চলের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
আর এজন্য ব্যয়বহুল সমুদ্র সেতু নির্মাণ করেছে উপসাগরীয় অঞ্চলের এ দেশটি।
বিশ্বের চতুর্থ দীর্ঘতম এ সমুদ্র সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩৬ কিলোমিটার, আরেকটি সেতুর সাথে সংযোগ হওয়াতে উভয় সেতুর সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৪৮.৫ কিলোমিটার।
আর এ সেতুর নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৩.৬ বিলিয়ন ডলার।
দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্ডাই ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ও স্থানীয় কন্ট্রাক্টিং কোম্পানির যৌথ কাজের মাধ্যমে চার বছরে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়।
বর্তমানে অনেকটাই দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে শেখ জাবের কোজওয়ে নামের সমুদ্র এ সেতুটি।
ফলে স্থানীয় নাগরিক ও প্রবাসীরা কুয়েতের দ্বীপ অঞ্চল ও সমুদ্র সেতু ভ্রমনে ছুটে যান সেখানে।
কুয়েত সিটি থেকে শেখ জাবের কোজওয়ে সেতু অতিক্রম করে সুবিয়া দ্বীপ অঞ্চল ৩০ মিনিটের দূরত্ব।
যদিও সেতু নির্মাণের পূর্বে এ দ্বীপ অঞ্চলেই যেতে নৌপথে প্রায় দুই ঘণ্টার রাস্তা ছিল।
কুয়েত সরকারের নিকট ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় এ দ্বীপ অঞ্চলেই নির্মাণ হতে যাচ্ছে ১০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি মেগা-সিটি।
সেতু নির্মাণের পর সবচেয়ে ইতিবাচক যে দিকটি দেখছে কুয়েত সরকার, সেটি হচ্ছে গালফ্ অন্তর্ভুক্ত দেশ গুলোর সঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক যোগাযোগের সময় আরো এক ঘণ্টা কমে এসেছে।
সমুদ্র সেতু নির্মাণের পর কুয়েত সিটি অঞ্চল গুলোর সাথে সুবিয়া ও বুবিয়ান দ্বীপের সংযোগ স্থাপন হয়েছে, ফলে এখানে প্রতিদিনই স্থানীয় ও প্রবাসী দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বিশ্বের চতুর্থ দীর্ঘতম এ সেতুর দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য সবচেয়ে বেশি প্রস্ফুটিত হয়ে থাকে রাতের আধারে।
কুয়েতের প্রাক্তন আমীর শেখ জাবের আল সাবাহ্ উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায়, শেখ জাবের আল সাবাহ এর নাম দিয়ে নামকরণ করা হয় ”শেখ জাবের কজওয়ে সেতু”।