কুমিল্লায় বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন।
খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
গত ২৩ জুলাই হাইকোর্ট এক আদেশে বিচারিক আদালতে এই মামলায় খালেদা জিয়ার করা জামিনের আবেদন ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করে জামিন চান। খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আজ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আজ আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ বলেন, কুমিল্লায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্ট ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন। কুমিল্লায় দায়ের হওয়া আরেক মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি হাইকোর্টের একই বেঞ্চে আজ বেলা ২টায় ধার্য রয়েছে।
আইনজীবী সূত্র বলেছে, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপে আট যাত্রীর মৃত্যুর হয়। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলায় হয়। একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা, অপরটি হত্যা মামলা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। এরপর থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি।
সূত্র, প্রথম আলো