সবকিছু ঠিকঠাক মতোই এগিয়ে যাচ্ছিল। আর ঘণ্টা-খানেক হলেই বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতো। কনে নিয়ে বাড়ি যেতে পারতেন তিনি। কিন্তু সবকিছুতে গোলমাল তৈরি হয় একটি সন্দেহ থেকে।
বিয়ের অনুষ্ঠানে যারা আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন তাদের নিয়ে সন্দেহ হয় কনে পক্ষের।
বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে যখন কনে পক্ষের লোকজন কথা বলতে শুরু করে তখন জানা গেল যে আমন্ত্রিতদের সাথে বরের কোন সম্পর্ক নেই।
আমন্ত্রিত অতিথিরা বরের পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধু নয়। তাদের ভাড়া করে বিয়ের অনুষ্ঠানে এনেছিল বর নিজেই।
এ ঘটনা জানার পর কনে পক্ষ বরকে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাটি ঘটেছে চীনের শানজি প্রদেশে।
কনে পক্ষ যখন আমন্ত্রিত অথিতিদের সাথে কথা বলছিল তখন সবাই বলেছিল যে তারা বরের বন্ধু। কিন্তু কী ধরনের বন্ধু সেটি তারা বলতে পারছিলেন না।
বিয়ের আসরে ভাড়া করে আনা এসব অতিথিদের জন্য মোটা অংকের অর্থ খরচ করতে হয়েছে বরকে। প্রত্যেক অতিথিকে তিনি ১২ ডলার করে দিয়েছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবার জন্য।
তাদের সাথে বরের চুক্তি হয়েছিল যে বিয়ের আসরে করে পক্ষের তারা বরের আত্নীয়, পরিবার এবং বন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করবে। কিন্তু সবাই তা করতে পারেন নি। ফলে আসল ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়।
বরযাত্রী হিসেবে যাদের ভাড়া করা হয়েছিল তাদের কেউ ট্যাক্সি চালক, কেউ ছাত্র।
বিয়ের পাত্র এবং পাত্রীর মধ্যে তিন বছরের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু পাত্রী আগে বুঝতে পারেননি যে আমন্ত্রিতরা বরের কোন আত্নীয় বা বন্ধু নয়।
কিন্তু বর কেন এ ধরনের কাণ্ড করতে গেলেন সেটি পরিষ্কার নয়। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, পাত্র গরীব বলে তার সাথে মেয়ের বিয়েতে কনের পরিবার বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না।
সেজন্য পাত্র দেখাতে চেয়েছিল যে তারা গরীব নয়। কারণ বরযাত্রী হিসেবে যাদের আনা হয়েছিল তাদের মধ্যে দারিদ্রের কোন ছাপ ছিল না। কিন্তু এ মাধ্যমে বর কী ধরনের আইন ভঙ্গ করেছে সেটিও এখনো পরিষ্কার নয়।
তবে এনিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে নানা মুখরোচক আলোচনা চলছে।
একজন লিখেছেন, ” যে ব্যক্তি ২০০ মানুষকে ভাড়া করতে পারে সে কতটা গরীব? এর পেছনে হয়তো অন্য কারণ আছে।