রোববার নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
তিন বছর ধরে স্মার্ট কার্ড বিতরণের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এ বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হল।
“সোমবার দেশের সব জেলা ও উপজেলার শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হবে। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করবে, তাদের কাছে স্মার্ট দেওয়া হবে,” বলেন সাইদুল ইসলাম।
অনেক জায়গায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ চলছে। কোথাও কোথাও এখনও বিতরণ শুরু হয়নি। যেসব জায়গায় এখনও বিতরণ হয়নি, সেখানে মুক্তিযোদ্ধারাই সবার আগে স্মার্ট কার্ড পাবেন।
বিজয় দিবসের জন্য প্রাথমিকভাবে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে।
এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক জানান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংগ্রহ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট করা হয়েছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া।
এদিকে সব ধরনের তালিকা যাচাই-বাছাই করে আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন।
রোববার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার প্রাথমিক খসড়া আমাদের কাছে রয়েছে। বর্তমান তথ্য মতে, কোনো না কোনো তালিকায় অর্ন্তভুক্তির সংখ্যা ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৬ জন। এর মধ্যে দাবিদার মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৫১ হাজার ২৮৫ জন।”
বর্তমানে ২ লাখ ১ হাজার ৪৬১ জন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন জানিয়ে মোজাম্মেল বলেন, “একজনের নাম একাধিক দলিলে রয়েছে। এজন্য মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেশি মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এ সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি নয়।”