জগলুল হুদা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকারই ক্ষমতায় থাকবে এবং সে নির্বাচনে বিএনপি না গেলে জনগন তাদেরকে নির্বাসনে পাঠাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে প্রবাসী মুজিব নগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এর ৯১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ও ন্যাপ ভাসানী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সহায়ক সরকার, তত্বাবধায়ক সরকার যত ফর্মুলাই বিএনপি আনুক কোন কিছুই গ্রহন করা হবে না। সংবিধান থেকে একচুল নড়ার সুযোগ নেই। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকালীন সরকার বা সহায়ক সরকার যাই বলুন, তার প্রধান থাকবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে না গিয়ে এমনিতেই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এবার যদি তারা আবারও নির্বাচন বয়কট করে বা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করে তাহলে জনগন তাদেরকে নির্বাসনে পাঠাবে।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি হলো বন্দুকের নলের আগায় জন্ম নেওয়া দল। জিয়াউর রহমান বন্দুকের জোরে ক্ষমতা দখল করার পরে বিএনপি গঠন করেন। তিনি ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়েছেন আর রাজনীতির কাকেরা তার দলে যোগ দিয়েছেন। অথচ রাজনীতির কাকদের সেই দল বিএনপি এখন অভিযোগ করে বন্দুকের জোরে আওয়ামী লীগে ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগ কখনো ষড়যন্ত্র করে, অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় আসেনি। জনগনের ম্যান্ডেট নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সমাবেশ করে। আর সেসব সমাবেশ থেকেই বলে যে দেশে সভা-সমাবেশ করার অধিকার নেই। গতকালকেও বিএনপির মহাসচিব খুলনায় সমাবেশ করেছেন। আর সেই সমাবেশেই বলেছেন দেশে সমাবেশ করার অধিকার নেই।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের উজ্জল নক্ষত্র। বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে হলে তার নাম থাকবে প্রথম সারিতে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুর নামের সঙ্গে যাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা হবে তাদের মধ্যেও তিনি অন্যতম। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি আর তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনেও তার ভূমিকা অনবদ্য। রাজনীতির পাঠশালার ছাত্র যারা তাদেরকে আজীবন তাজউদ্দীন আহমদের জীবনী থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট সাজোয়ার রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এম.পি। উপস্থিত ছিলেন, জতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেক সিদ্দিকি, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি এম.এ. ভাসানী, গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, অরুন সরকার রানা, শাহাদাত হোসেন টয়েল, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম প্রমুখ।