আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তেলআবিব থেকে বায়তুল মোকাদ্দাসে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলের গুলিবর্ষণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর স্নাইপারদের দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
সোমবার দূতাবাস স্থানান্তরের কারণে সৃষ্ট ক্ষোভ থেকে গাজায় বিক্ষোভকারীরা টায়ারে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে তারা সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে আগুনের গোলা ও পাথর নিক্ষেপ করেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তাদের সদস্যদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছে এবং বিক্ষোভকারীরা সীমান্তের বেড়া ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছে। সেই সাথে আরো জানিয়েছে, বোমা পোঁতার সময় সেনা সদস্যরা গুলি করে তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিকালের মধ্যে ৫ শিশুসহ কমপক্ষে ৪১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৭২ বিক্ষোভকারী। তাদের মধ্যে ৮৬ জনের অবস্থা গুরুতর।
গাজার ক্ষমতাসীন দল হামাসের নেতৃত্বে গত মার্চের শেষ দিক থেকে নিয়মিতভাবে সীমান্তে বিক্ষোভের আয়োজন করা হচ্ছে। এসব বিক্ষোভে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণে ৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত ও আড়াই হাজারের অধিক আহত হয়েছেন। সোমবারও হামাসের সদস্য নিহত হয়েছেন বলে দলটি জানিয়েছে।
হামাসের সিনিয়র নেতা ইসমাইল রাদওয়ান বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সীমান্তে গণবিক্ষোভ চলমান থাকবে।
তিনি আরো বলেন, জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে আনা আমেরিকান প্রশাসনের জন্য বিপর্যয় বয়ে আনবে এবং তা হবে দেশটির জনগণের ইতিহাসে এক কালো দিন। কারণ তারা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে দখলদারিত্ব ও আগ্রাসনের সঙ্গী হয়েছে।