বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুয়েত কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২৫শে ফেব্রুয়ারী ২০১৭ইং রোজ শনিবার রাত ৯টায় কুয়েত সিটিস্থ এক হোটেলে শতাধিক আওয়ামী নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুয়েত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নেওয়াজ নজরুলের সঞ্চালনায় ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুয়েত কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আতাউল গনি মামুনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুয়েতের সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট সংগঠক প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম ফারুক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হুসেন পাটুয়ারী, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল কুয়েতের সভাপতি লুৎফুর রহমান (মুকাই আলী), বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুয়েতের সভাপতি শেখ আকরামুজ্জামান,বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামীলীগ কুয়েত কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ কামাল, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুয়েত একাংশের সভাপতি ও মাসিক মরুলেখার প্রধান সম্পাদক আব্দুর রউফ মাওলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোরশেদ আলম বাদল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদুর রহমান মাসুম প্রমুখ।
এসময় বক্তব্য রাখেন, কুয়েত আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস,এম,আব্দুল আহাদ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কুয়েত কমিটির দিদারুল আলম দিদার, উদীয়মান, তরুণ সংগঠক হুসেন মুরাদ চৌধুরী, দিদারুল ইসলাম,কুয়েত আওয়ামীলীগ এর আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাঈম আহমেদ,আহমেদুর রহমান মাসুম, মোরশেদ আলম বাদল,আব্দুর রউফ মাওলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি আহমেদ শফি,শেখ আকরামুজ্জামান, লুৎফুর রহমান মুকাই আলী, ফয়েজ কামাল প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দরা মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রফিক,সালাম,বরকত,জব্বার সহ নাম না জানা অনেক শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, মহান ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ‘এ আন্দোলন ছিল আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষারও আন্দোলন।নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে এ আন্দোলনের মাধ্যমে। অমর একুশে অবিনাশী চেতনা হয়ে পরবর্তীকালে স্বাধিকার ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমাদের যুগিয়েছে অসীম প্রেরণা ও শক্তি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি বহু কাংখিত স্বাধীনতা।’
প্রধান অতিথি বিশিষ্ট সংগঠক প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম ফারুক তার বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এ দিনে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আমাদের ছাত্র-তরুণের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। তাদের সেই সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগ জাতি হিসেবে আমাদেরকে আজ পৃথিবীর ইতিহাসে অবিস্মরণীয় করেছে। বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে সারা বিশ্বে। আমাদের দেশে এটি শহীদ দিবস হিসেবে পরিচিত।তিনি আরো বলেন, আজ কুয়েতে আমরা অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে এই দিবসটি পালন করছি।
বক্তব্যের একপর্যায়ে প্রধান অতিথি কুয়েত আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দদেরকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেন, আমি আপনাদের সাথে আছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে, আপনারা নির্দ্বিধায় সাংগঠনিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারেন, এতে যতো ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন; অবশ্য’ই আমি করে যাবো।
শেষে শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল ও নৈশভোজের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।