আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, আঞ্চলিক দেশগুলোর উচিত পরস্পরের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়াই সংলাপের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যকার সমস্যার সমাধান করা।
ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কৌশলগত চবাহার শহরে একটি নতুন বন্দর চালু করার অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহানি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে কোনো সমস্যা তৈরি হলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। এক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ব শক্তিগুলোর সমরাস্ত্র ও হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।”
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় তৎপর উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ নির্মূলের মাধ্যমে সংঘাতমুক্ত মধ্যপ্রাচ্য গঠন করার পথ খুলে গেছে। সেইসঙ্গে এটি শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে সংঘাত এবং পশ্চিমা শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপের অঞ্চল বলে যে ধারনা ছিল তারও অবসানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
হাসান রুহানি বলেন, “বলপ্রয়োগ করে কারো ধর্ম ও বিশ্বাসে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। কেউ যদি মনে করে তার ধর্ম অন্যদের চেয়ে ভালো তাহলে তাকে কথায় নয় কাজে তার প্রমাণ দিতে হবে। আমাদেরকে কাজে প্রমাণ করতে হবে আমাদের ধর্ম শ্রেষ্ঠ এবং একইসঙ্গে অন্যদের ধর্মের প্রতিও সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।”
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রতিটি কাজে আমাদেরকে আঞ্চলিক ঐক্য, সংহতি ও স্বার্থের কথা বিবেচনা করতে হবে। মধ্যপন্থা অবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই। উগ্রবাদ ও সহিংসতা বিশ্বের যে দেশে যে নামেই থাকুক না কেন তা ধ্বংস ও বিনাশ ছাড়া অন্য কোনো ফল বয়ে আনে না।”
ইরানের প্রেসিডেন্ট তার দেশের চবাহার সমুদ্রবন্দরকে একটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বন্দর হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তরের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রয়েছে এবং এসব দেশ এই বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। চবাহার বন্দর ইরানের অর্থনীতির পাশাপাশি আঞ্চলিক দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। (পার্সটুডে)