ঢাকা: রোববার ( মার্চ ১২) পুরান ঢাকার রাসায়নিক কারখানার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।
অভিযানের এক পর্যায়ে দুপুরের রোদ আর রাসায়নিকের গন্ধে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েন মেয়র। এ সময় সঙ্গে থাকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী ও মেয়রের প্রটোকল অফিসাররা গাড়ি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। সবাই ভেবেছিলেন এবার গাড়িতে উঠবেন মেয়র। সেজন্য অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাঁশি বাজিয়ে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করছিলেন। ঠিক এমন সময় সবাইকে অবাক করে দিয়ে মেয়র বলে উঠলেন ‘চা-শিঙ্গাড়া খাবো!’ সঙ্গে সঙ্গে মেয়রের প্রটোকলে থাকা সুমন আহমেদ এদিক সেদিক দুই-একবার তাকিয়ে আস্তে করে বললেন, ‘স্যার এখানে ভালো দোকান তো নেই।’
পাশেই লালবাগ শহীদ নগর ১ নং গলির একটি ফুটপাতের দোকানে চা বিক্রি করছিলেন লালন নামের এক যুবক।
মেয়র বললেন, ‘ওই যে চায়ের দোকান ওখানেই বসে খাবো।’ যে কথা সেই কাজ। অন্যান্যরা তার পিছু নিয়ে বসে গেলেন লালনের চা দোকানের বেঞ্চে। সবার সঙ্গে তখন বেঞ্চে বসে কাচের কাপে কনডেন্স মিল্কের চায়ে চুমুক দিয়ে খোশ গল্পে সবাইকে মাতিয়ে তুললেন মেয়র সাঈদ খোকন। পাশ থেকে আরেকজন ছোট ছোট শিঙ্গাড়া এনে দেন মেলামাইনের হাফ প্লেটে। এ সময় আশপাশের মানুষ বলাবলি করছিলেন মেয়র সাহেব তার বাবার মতই সবার সঙ্গে মিশতে পারেন। এভাবে দুপুরের হাল্কা ক্ষুধার তৃপ্তি মেটালেন মেয়র সাঈদ খোকন।