চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ)ঃ ছাতকে এক লন্ডন প্রবাসীর স্ত্রীদের ভরন পোষনের দায়িত্ব পালনকালে অসামাজিকতার অভিযোগ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। এব্যাপারে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, উপজেলার দোলারবাজার ইউপির কুর্শী গ্রামের মৃত আলতাব আলীর পুত্র বিয়ে পাগল মাহবুব লন্ডনীর দেশে রেখে যাওয়া এক ডজন স্ত্রীদের বিগত দিনের ন্যায় ভরন-পোষনের দায়িত্ব পালন করে তার প্রতিনিধি প্রতারক আব্দুল্লাহ। এসূযোগে তাদের ভরন-পোষন বন্ধ করার কথা বলে তার সাথে অসামাজিকতায় লিপ্ত করার অপচেষ্টা চালাতে থাকে। কিন্তু আব্দুল্লাহর অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় একই সাথে মাহবুবের ৫জন স্ত্রীকে ছাতক পৌরসভার মাধ্যমে লিখিত তালাক দিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনায় উঠে আসে। জানা গেছে, মাহবুব লন্ডনীর এক স্ত্রী মাছুমা বেগম সিলেট বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডাইরী (নং-১০৭, তাং-৩.৩.২০১৬ইং) করে আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অসামাজিকতার অভিযোগ করেন। সে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের হাসকুড়ি-শিবপুর গ্রামের তেরাব আলীর পুত্র। এখন কুর্শী মদীনাগঞ্জ মাদরাসায় দায়িত্ব পালন করছে। বিভিন্ন প্রবাসীও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের অনুদানে পরিচালিত মাদরাসার টাকা আত্মসাত করে এলাকায় সে এখন প্রচুর জাগা-সম্পদের মালিক হয়েছে। এক সময়ে আব্দুল্লাহর হাসকুড়ি-শিবপুর গ্রামের বাড়িতে সহায় সম্বল বলতে কিছু ছিলনা। কিন্তু মাদরাসাও এতিমখানার টাকা মেরে রাতারাতি তিনি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। এখানে এতিমদের খাবারেও অনিয়ম যেন দীর্ঘদিনের। মদীনাগঞ্জ এতিমখানায় শিল্পপতি ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মুনসিফ আলী মাসোহারা ১০হাজার টাকাও প্রবাসীসহ এলাকার সমাজসেবীরা এখানে মোটা অংকের অনুদান দিলেও এতিমখানার ভাগ্যে জুটে সবজি ও ডাল। এতিমরা জানায়, কোন মাসে একবেলাও মাছ-মাংসের দেখা মেলেনা তাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক গন্যমান্য ব্যক্তি জানান, মাদরাসার ভূমিদাতা মাহবুব লন্ডনীও আব্দুল্লাহ মিলে নারী কেলেঙ্কারীও মাদরাসাসহ এতিমখানার টাকা-পয়সা লুঠপাট করে দেশে-বিদেশে গোটা এলাকার সুনাম নষ্ট করছে। এক সময়ে নিজের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার ঘটনাগুলো আড়াল করতে প্রতারক আব্দুল্লাহ সত্যও ন্যায়ের ধারক ও বাহক জনৈক কলম সৈনিকের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের ব্যর্থ প্রয়াস চালায়। যদিও তা-ধুপে ঠেকেনি। এখন প্রতারনার অভিযোগে আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হচ্ছে। এগুলো মোটা অংকের টাকায় ধাঁমাচাঁপা দিয়ে তাকে মাদরাসায় ঠিকিয়ে রাখতে মাহবুব এখন সর্বশক্তি নিয়োগ করছে। গত ২০১৫সালের ১২নভেম্বর একই সাথে মাহবুবের স্ত্রী মাছুমা বেগম, আসমা আক্তার লিমা, শাপলা বেগম, সেলিনা বেগমও ফাতিমা বেগমসহ ৫জনের নামে ছাতক পৌরসভা মেয়র বরাবরে পাঠানো ডিভোর্স লেটারে স্বামীর স্থলে স্বাক্ষর দেয় প্রতারক আব্দুল্লাহ। সরকারি আইন লঙ্ঘন করে প্রথম স্ত্রীর লিখিত অনুমতি না নিয়েই প্রতারক আব্দুল্লাহর মাধ্যমে একাধিক বিয়ে করে মাহবুব। পরে তার সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত না হওয়ায় একই আব্দুল্টলার স্বাক্ষরেই এদেরকে তালাক দেয়া হয়। এব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।