ঝালকাঠির রাজাপুরে পুলিশ হেফাজতে কলেজ ছাত্রকে মধ্যযুগীয় নির্যাতন করে দু’লাখ টাকা আদায় ও মিথ্যা চুরির মামলায় সন্ধিগ্ধ আসামী করে জেলহাজতে প্রেরনের ঘটনা তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রদানের জন্য সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান। থানায় ডেকে নিয়ে রাজাপুর থানার পরিদর্শক (ওসি অপারেশন) মুনীর উল গিয়াসের নির্যাতনের শিকার কলেজ ছাত্র ইমরান হোসেন আদনান কে অবগত করে সোমবার ডাকযোগে প্রেরীত (স্মারক নং এনএইচআরসিবি/অভিযোগ/৩৩/১৭-২৩৮(৩) এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শরীফ উদ্দিন স্বাক্ষরিত পত্রে সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে অনুরোধ জানানো সহ আদেশের অনুলিপি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সংশ্লিষ্ট বেে প্রেরন করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার কলেজ ছাত্র ইমরান হোসেন আদনান অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সংশ্লিষ্ট বেে ইমরান হোসেন আদনান বনাম রাজাপুর থানা পুলিশ অভিযোগ-৩৩/১৭ এর ১নং আদেশনামায় উল্লেখ করেন, ইমরান হোসেন পিতা- মৃত শাজাহান আলী টিএন্ডটি সড়ক থানা: রাজাপুর জেলা: ঝালকাঠি কমিশনে অভিযোগ করেন, গত ৭ ডিসেম্বর রাজাপুর থানার ওসি মুনীর উল গীয়াস তার কক্ষে আদানান ও ছোটভাই মুরাদ কে ডেকে আনেন।ওসি মুনিরের কক্ষে নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ওসির নির্দেশে আদনানকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। এ সময় ওসি মুনীর উল গীয়াস ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অভিযোগকারীর মায়ের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা আদায় করেন। পরবর্তিতে ওসি মুনির অজ্ঞাতনামা একটি চুরির মামলায় আদনানাকে সন্দিগ্ধ আসামী করে আদালতে সোপর্দ করে।এ অবস্থায় অভিযোগকারী ইমরান হোসেন আদনান মামলাটি (নং-৫ তাং০৭-১২-২০১৭ ধারা ৪৫৪/৩৮০) সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য পিবিআই বা সিআইডির মাধ্যমে তদন্তের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কমিশন আবেদন করেন। এমতাবস্থায় পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) অভিযোগটি যাচাই-বাছাই পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করুন। এ আদেশনামায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সংশ্লিষ্ট বেে ২নং আদেশনামায় উল্লেখ করেন, পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) অভিযোগটি যাচাই-বাছাই পূর্বক এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে পুলিশ কর্তৃক নির্যাতন, ঘুষ আদায় ও ক্রসফায়ারের হুমকির বিষয়টি মানবাধিকারের লংঘন। ফলে অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রদানের জন্য বলা যেতে পারে। আর আদেশের অনুলিপি মহাপুলিশ পরিদর্শক পুলিশ হেডকোয়াটারর্স বরাবর প্রেরন করা যেতে পারে। দেখিলাম। পুলিশ কর্তৃক নির্যাতন, ঘুষ আদায় ও ক্রসফায়ারের হুমকির বিষয়টি মানবাধিকারের লংঘন। ফলে অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রেরনের জন্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে বলা হোক। আর আদেশের অনুলিপি মহাপুলিশ পরিদর্শক পুলিশ হেডকোয়াটারর্স বরাবর প্রেরন করা হোক। পরবর্তী ০৮ মে ২০১৭ইং তারিখ প্রতিবেদনের জন্য ধার্য। এ আদেশনামায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত।