আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ধর্মীয় কারণে এক শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানানোয় এক মুসলিম নারীকে নাগরিকত্ব দেয়নি ফ্রান্স সরকার। ২০১৬ সালে নাগরিকত্ব স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠানে অজ্ঞাতনামা ওই নারী তার ‘ধর্মীয় বিশ্বাসের’ কারণে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানান। খবর বিবিসির।
ফ্রান্স সরকার পরে জানায়, এ ঘটনায় প্রমাণ হয় যে ওই নারী ‘ফ্রেঞ্চ কমিউনিটির সঙ্গে মিশতে পারবে না’। ফলে ফরাসি সরকার আলজেরীয় ওই নারীকে নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
ওই নারী পরে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ আদালতে ফরাসি সরকারের বিরুদ্ধে আপিল করেন। কিন্তু আদালত ফরাসি সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন। আলজেরীয় ওই নারী ২০১০ সালে ফ্রান্সের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। ২০১৬ সালে ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ইসেরে অঞ্চলে নাগরিকত্ব প্রদান অনুষ্ঠানের সভাপতি ও একজন স্থানীয় রাজনীতিবিদের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানান ওই নারী।
এ ঘটনায় ওই নারী ফরাসি কমিউনিটির সঙ্গে মিশতে পারবে না দাবি করে তাকে নাগরিকত্ব প্রদানে বিরত থাকে ফ্রান্স সরকার। দেশটির আইন অনুযায়ী, এ ধরনের যুক্তিতে সরকার চাইলে কাউকে নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকার করতে পারে।
তবে ওই নারী এটিকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ বলে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু আদালত বলেছেন, সরকার ওই আইনের ‘অপব্যবহার’ করেনি। এর আগে ২০১৬ সালে সুইজারল্যান্ডের একটি আঞ্চলিক সরকার দুই মুসলিম কিশোরকে তাদের নারী শিক্ষিকাদের সঙ্গে হাত মেলাতে রুল জারি করেন। আর যদি তারা এই আদেশ অমান্য করেন তবে তাদের জরিমানা গুণতে হবে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ইসলামি শিক্ষা অনুযায়ী কোনো নারী বা পুরুষ অপরিচিত নারী বা পুরুষের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন না।