আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন রাজধানী পিয়ং ইয়ং থেকে বাসিন্দাদের অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে তিনি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাশিয়ার পত্রিকা প্রাভদা এমন খবর দিয়ে বলছে অন্তত ৬ লাখ মানুষ যা দেশটির রাজধানী পিয়ং ইয়ংএর বাসিন্দাদের ২৫ ভাগ, জরুরিভিত্তিতে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার এধরনের পদক্ষেপকে যুদ্ধ প্রস্তুতি বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে চীন উত্তর কোরিয়া সীমান্তে দেড় লাখ সেনা মোতায়েনের পর আরো ২৫ হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্র সফর করে দেশে ফিরে এসেছেন। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও পিয়ং ইয়ং ঘন ঘন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করায় দুটি দেশের মধ্যে কিছুটা টানাপড়েন চলছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর উত্তর কোরিয়া অভিমুখে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর পর চীনের সেনা মোতায়েনও যুদ্ধ প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে উত্তর কোরিয়ার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধের জন্যে চাপ সৃষ্টি করতে বলেছে। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশ জাপানের সঙ্গে চীনের সম্পর্কে বেশ কিছুটা রেষারেষি থাকলেও চীন সেখানে বিমান বন্দর নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। এর পাশাপাশি আগামী শনিবার এযাবতকালের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিয়াগুলো বলছে, আসছে শনিবার যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার এমন কর্মসূচির নাম দেয়া হয়েছে ‘ডে অব দি সান’। পিয়ং ইয়ং’এ অন্তত ২’শ সাংবাদিক উপস্থিত রয়েছেন ১৫ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের খবর সংগ্রহ করার জন্যে। তাদের একজন চ্যানেল নিউজ এশিয়ার বেইজিং সংবাদদাতা জেরমি খো জানিয়েছেন, ভোর ৬টা ২০ মিনিটে আমাদের প্রস্তুত থাকার কথা বলা হলেও মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সূত্র: ডেইলি স্টার ইউকে/এক্সপ্রেস
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই