সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক: মা, মেয়ের পার্সপোর্ট রিনিউ করার জন্যে দুই দিন ধরে মা, মেয়ে, মেয়ের বাবা সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আগার গা পার্সপোর্ট অফিসে দৌড়াইতেছি। যতই মুখে বলে এখন পার্সপোর্ট পেতে আর কোনো দালাল ধরতে হবে না, হয়রানি হতে হবে না।
কিন্তু বাস্তবে যদি বলতে হয় এখনো জটিলতা শেষ নাই। কালকে গেলাম সব কিছু ঠিক করে ফাইল জমা দেওয়ার জন্যে।
কাউন্টারে যাওয়ার পর মহিলা বলে আপনার ফাইল সাজানো হয় নাই। আপনি যাকে দিয়ে সত্যায়িত করেছেন তাকে দিয়ে হবে না। আবার নতুন করে সব কিছু রেডি করে আজকে জমা দিয়ে আসলাম। ফাইল জমা দেওয়ার জন্যে লাইনে যখন দাঁড়িয়ে আছি তখন শুনতে পেলাম স্মার্ট আইডি বা ভোটার আইডি কার্ডের মেইন কপি দেখাইতে হবে। ভাগ্যিস আমার সাথে আইডি কার্ড ছিলো। যারা মেইন কপি সাথে নিয়ে আসে নাই তারা ফাইল জমা না দিয়েই চলে গেছে।
অথচ অন্য কোথাও নিয়ম- কানুনের মাঝে এইসব লিখা নাই। হয়রানি আর ভোগান্তির কোন শেষ নাই। এখন বলছে একুশ দিনের মধ্যে পার্সপোর্ট ডেলিভারি দিবে। পার্সপোর্ট অফিসেই নিচে এক পরিচিত জনের সাথে উনি এক মাসে ও উনার পার্সপোর্ট ডেলিভারি না পেয়ে শেষে বাড়তি টাকা দিয়ে পার্সপোর্ট হাতে পেয়েছে। আরেকজন বাড়তি টাকা দেয় নাই তাই এখনো পার্সপোর্ট হাতে পায় নাই।
এখন আমার চিন্তা হচ্ছে একুশ দিনের মধ্যে পার্সপোর্ট ডেলিভারি দিবে। ঈদের আগে কি পার্সপোর্ট হাতে পাবো। আদৌ কি একুশ দিনের মধ্যে দিবে। একমাত্র আল্লাহ্ই ভালো জানেন কবে পাবো। তাই বলি এত কিছুর পর ও হয়রানি বা ভোগান্তি এখনো শেষ হয় নাই।
নাহার রাইসার ফেসবুক ওয়াল থেকে