আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের আন্প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ‘পরমাণু সমঝোতা’ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোসহ বাদবাকী সব সরকারের জন্য বিরাট পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার ওপর একটি সরকারের প্রতি বিশ্ববাসীর আস্থার বিষয়টি নির্ভর করে। পরমাণু সমঝোতার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগ মুহূর্তে ইরানের প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, যারা এই চুক্তির প্রতি সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তারা নিজেদের আত্মসম্মানবোধ বজায় রেখেছে।
ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের দুই বছর ধরে কঠিন ও শ্বাসরুদ্ধকর আলোচনা যখন চলছিল তখন পারস্পরিক আস্থার ব্যাপক অভাব ছিল। এরপর সব পক্ষের বিজয় ও সম্মতির ভিত্তিতে ২০১৫ সালে চূড়ান্ত পরমাণু সমঝোতা পত্র সই হয়। এমনকি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের গৃহীত ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবেও ওই সমঝোতার প্রতি সমর্থন জানানো হয়।
২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা কেবল কাগজে কলমের ওপরই নির্ভরশীল ছিল না বরং পারস্পরিক আস্থা ও আন্তরিকতাও ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। এ অবস্থায় যেহেতু আন্তর্জাতিক যেকোনো সমঝোতা বা চুক্তি মেনে চলার ওপর আস্থার বিষয়টি নির্ভর করে তাই সংশ্লিষ্ট দেশগুলো যদি দায়িত্বে অবহেলা করে তাহলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের মর্যাদা ও সম্মান ক্ষুণ্ণ হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়ন শুরুর প্রায় দুই বছর পর এখন এটিকে কেন্দ্র করে মার্কিন সরকারের আসল রূপ সবার সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠবে। কারণ এতদিন তারা এ বিষয়ে দ্বিমুখী নীতি নিয়ে চলত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাম্প্রতিক কথাবার্তা ও আচরণে ইরানসহ সারা বিশ্বের কাছে এটা প্রমাণিত হয়েছে, ওয়াশিংটনের প্রতি আস্থা রাখা যায় না।
সূত্র: পার্সটুডে
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই