বিশেষ সংবাদদাতা,আল আমিন রানা: সোনারগাঁও নোয়াগাঁও ইউনিয়নরে ভিটি পাড়া গ্রামের বিল্লাল মুন্সীর বাড়ির পাশ থেকে লক্ষীবরদী চার রাস্তÍার মোর প্রর্যন্ত রাস্তার বেহালদশা। রাস্তাটিতে পিচ খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চলমান বর্ষায় ও বৃষ্টিতে রাস্তার উপরে হাটু পানিও কাদা হয়েছে। রাস্তার মাঝখান বড় বড় গর্ত দেখলে মনে হয় যেন ছোট ছোট খাল-বিলের মতোই। বেশ কয়েক বছর থেকে সংস্কার কাজের অভাবে আর সংস্কারের টাকা দিয়ে ঠিকঠাক মতো কাজ না করিয়ে নিজের আখের গোছাতে কোন মতে কাজ সারিয়ে বিদায় হন ঠিকাদার। রাস্তার দু’দিকের গার্য ওয়াল কিংবা রাস্তার আশপাশের বাড়ি থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না করেই প্রায় অনেক বছর আগেই মেরামত কাজ সেরেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজের কয়েক মাসের মাথায় নিচু স্থানগুলোতে পানি জমে ছোট-ছোট গর্ত সৃষ্টি হলে পরবর্তীতে এ গর্ত গুলো একেকটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। বর্তমানে রাস্তা দিয়ে ওই এলাকার মানুষ ঝুঁকি চলাচল করছেন।
বর্তমানে এ রাস্তার অবস্থা দেখলে মনেই হবে না যে এটি একটি পাকা রাস্তা ছিল। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ভিটিপাড়া থেকে লক্ষীবরদী মোর প্রর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারের উপরে রাস্তাটির অবস্থা বর্তমানে এতটাই নাজুক যেন অনেকটা কাচাঁ
রাস্তাকেই হার মানাবে। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গর্ত থাকায় পানি জমে গিয়ে এ সকল গর্তে গাড়ির চাকা পড়ে সম্পূর্ণ রাস্তাটি একটি পূর্ণাঙ্গ কাঁদা রাস্তায় পরিনত হয়েছে।।
একটি বিদ্যালয় ও একটি মহিলা মাদ্রেসা ও একটি পুরুষ মাদ্রেসার হাজার হাজার শিক্ষার্থী চরম দূর্ভোগের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানের যাতায়াত করে। রাস্তার উপরের গর্তে জমানো কাঁদা গাড়ির চাকার পিষ্টে ঐ সকল শিক্ষার্থীসহ ব্যবসায়ী সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরণের কাপড়ে কাঁদা মাখানো ঘটনা নতুন কোন বিষয় নয়।
স্থানীয় অটোরিক্সা ও রিকশা চালকরা জীবিকার তাগিদে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে কোন মতে গাড়ী চালাচ্ছেন। অগ্র দৃষ্টির এর-আমাদের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি আল আমিন রানার কাছে এলাকার কিছু যুবক রাস্তাটির বেহালদশার ছবি তোলে পাঠান। যুবকরা জানান এই রাস্তাটি অদৌ মেরামতের মুখ দেখতে পারবে কিনা তা প্রশ্নাতীতভাবেই থেকে যাচ্ছে। বর্তমান ইউপি মেম্বার জাকির হোসেনের সাথে এলাকার কিছু যুবক রাস্তাটির সংস্কার করার কথা বলে ও কোন লাভ হয়নি বলে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান।
চলাচল অযোগ্য রাস্তাটি সংস্করের জন্য কর্তৃপক্ষকে এলাকবাসী বার বার জানিয়েও কোন ফল আসেনি। জনপ্রতিনিধিরা কয়েক বছর যাবৎ আশ্বাস দিচ্ছেন এবার কাজ শুরু হবে বাজেট হয়ে গেছে। বাস্তবে তা দেখা যাচ্ছে না, এ জন্য ভিটি পাড়া গ্রামের শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ মানুষ হতাশ হয়ে পড়ছে। অদৌও কি এ রাস্তাটি সংস্কার হবে? এ প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে।
এলাকার সর্বস্তরের জনগণের দাবি অচিরেই সড়কটি পাকা করা হোক। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দেয়ান উদ্দীন চুন্নু সড়কের বেহাল দশা ও জনদুর্ভোগের কথা নিশ্চিত করে আমাদের বিশেষ প্রতিনিধিকে জানান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কটি পাকাকরণের দাবি জানানো হয়েছে।