নিউ ইয়র্কে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের পক্ষে ডাকা কর্মসূচি থেকে ‘সহিংসতা’র আশঙ্কা করে একই সময়ে পাল্টা কর্মসূচি করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।
স্থানীয় সময় ৬ অগাস্ট বিকালে ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলন’ এর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনসুলেট অফিসের সামনে একদল প্রবাসী প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধনে অংশ নেন।
এর আগে ওই কর্মসূচি বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা আয়োজন করছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়লে একই স্থানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও অবস্থান নেন।
তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কনসুলেট অফিস আক্রমণের শঙ্কা থেকেই নিউ ইয়র্ক আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পাল্টা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।
কনসুলেট অফিস হামলা ও সহিংসতার আশঙ্কায় কয়েক ডজন পুলিশও সেখানে মোতায়েন করা হয়।
পঞ্চাশেরও বেশি প্রবাসী তরুণ-তরুণী ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের সমর্থনে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ব্যানারসহ মানববন্ধনে অংশ নেন।
এসব পোস্টার-প্লাকার্ডে লেখা ছিল- ‘বাসের নিচে কে পড়ছে মানুষ নাকি দেশ- প্রশ্ন শুনে গণতন্ত্র পালায় নিরুদ্দেশ, ‘স্টুডেন্ট লাইভস ম্যাটার, ‘ডোন্ট স্লিপ-ওউক আপ’, ‘জাগো বাংলাদেশ’, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু আর নয়, সেইভ দ্য চিল্ড্রেন-সেইফ বাংলাদেশ’, ‘উই ওয়ান্ট পিস’, ‘উই ওয়ান্ট সেইফ রোড’, ‘আমার ভাই কবরে-খুনি কেন বাহিরে’, ‘উই নিড জাস্টিস-নট পলিটিক্স’, ‘যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ-যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ’, ‘বায়ান্নর গন্ধ পাচ্ছি’ ইত্যাদি।
‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলন’ এর পক্ষে মানব বন্ধনের সময় আন্দোলনকারীদের পরিচয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান, কোনও সংগঠন কিংবা দল-মতের নন তারা। এসময় কোনও সংগঠনের নামে কোনও ব্যানারও চোখে পড়েনি।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য খোরশেদ খন্দকার অভিযোগ করে বলেন, ‘যেখানে জামাত-শিবির আর বিএনপি, সেখানেই প্রতিরোধ রচনা করবো আমরা। দেশ বিরোধী কোনও কর্মকাণ্ডকে আর সহ্য করা হবে না।’
আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচিতে আরও ছিলেন আবুল হাসিব মামুন, বাকির হোসেন হিরু, সোলায়মান আলী, সুবল দেবনাথ, ওয়ালি হোসেন, তৈয়বুর রহমান টনি প্রমুখ।
সূত্র, বিডিনিউজ২৪.কম