তিস্তার পানির বিনিময়ে এক ক্রিকেটারকে নেওয়ার ভারতের প্রস্তাবের কথাটি নিছক রসিকতা ছিল বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
সম্প্রতি বিবিসি সংলাপে পানি বণ্টন নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে তথ্যমন্ত্রীর এ সংক্রান্ত একটি বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ফেইসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওটিতে ইনুকে বলতে শোনা যায়, “বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা দুই দিন আগে ভারতকে গো-হারা হারিয়েছে। এতে খুব অসন্তুষ্ট হয়েছে ভারত।
“মোদী সাহেব বলেছেন যে, আমরা তিস্তার পানি দিয়ে দিব, আপনারা আপনাদের বোলারকে দিয়ে দেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, বোলারকে দেওয়া যাবে না, তিস্তার পানির জন্য আমরা দেখব।”
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে তথ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রওনক জাহান এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত হূমায়ুন কবির।
আলোচনার এক পর্যায়ে ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের বিষয়টি উঠে এলে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা না হওয়ায় সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করতে দেখা যায় হাফিজ উদ্দিনকে।
হাফিজের বক্তব্যের জবাবে ইনু বলেন, “আমি একটু তথ্য দিয়ে রাখি। তথ্যটা হলো আন্তঃনদী পানি সংযোগ প্রকল্প শুধু ব্রহ্মপুত্র নদের পানি গঙ্গাতে ফেলা নয়। অন্য নদী গুলোরও উত্তর প্রদেশের এবং মধ্য প্রদেশের যে নদীগুলো তার সাথে সংযোগ স্থাপন। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটারের ব্যাপার। আর বাংলাদেশের শেখ হাসিনার সরকার ভারত অসন্তুষ্ট হয় এমন কোন কাজ করতে চায় না এটা ঠিক নয়।”
এর পরই তাকে বাংলাদেশি এক ক্রিকেটারের বিনিময়ে তিস্তার পানি দেওয়ার ভারতের কথিত প্রস্তাবের কথা বলতে শোনা যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনার মধ্যে শনিবার যোগাযোগ করা হয় তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন বিষয়টি ছিল নিছক রসিকতা।
তিনি একটি বার্তা সংস্থাকে বলেন, “সংলাপে যখন অভিন্ন নদীর পানি নিয়ে কথা হচ্ছিলো, তখন একটি কথা উঠেছিল যে বাংলাদেশ সরকার ভারত অসন্তুষ্ট হয় এমন কোন কাজ করে না। তখন ঠাট্টা করে বলেছি। এটি ঠাট্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।”
কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সফরে এসে মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারে এক রকম নাস্তানাবুদ হতে হয় ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। সিরিজে অল্পের জন্য হোয়াইট ওয়াশ থেকে বেঁচে যায় অতিথিরা।
এরপরই মোস্তাফিজের ‘কাটার’ নিয়ে চারদিকে শুরু হয় শোরগোল, ভারতকে নিয়ে হাস্যরসাত্মক নানা ব্যঙ্গচিত্রও দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।