আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ছোটেবেলা থেকেই ওয়ান আজিজাহ ওয়ান ইসমাইলের লক্ষ্য ছিল বড় হয়ে চিকিৎসক হবেন, মানুষের রোগ সারাবেন। হয়েছেনও তা-ই। আয়ারল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব সার্জনসে পড়াশোনা করেছেন। ধাত্রীবিদ্যা ও গাইনকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করে গোল্ড মেডেল পান আজিজাহ। পরে গবেষণা করেন চোখের রোগ নিয়ে।
তবে এর চেয়েও বড় পরিচয় বর্তমানে ৬৫ বছর বয়সী আজিজাহ বর্তমানে মালয়েশিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী রাজনীতিবিদ। নারী অধিকারের উন্নয়ন ঘটানোই নিজের লক্ষ্য বলে জানান তিনি। মালয়েশিয়ার ইতিহাসে প্রথম এই নারী উপপ্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে।
ওয়ান আজিজাহ ওয়ান ইসমাইল দেশটির জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ আনোয়ার ইব্রাহিমের স্ত্রী। আনোয়ার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত উপপ্রধানমন্ত্রী থাকবেন আজিজাহ। এরপর এই পদটি বিলুপ্ত করা হবে। উপপ্রধানমন্ত্রী হয়ে রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি নারী অধিকার নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন।
আজিজাহকে মালয়েশিয়ার নারী ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ মালয়েশিয়ার নারীরাও আধুনিক জীবনধারা অনুসরণ করেন। কিন্তু বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের তথ্যমতে, দেশটি লিঙ্গ বৈষম্যে ১৪৪টি দেশের মধ্যে ১০৪তমতে রয়েছে।
১৯৯৮ সালে আনোয়ার ইব্রাহিমকে মালয়েশিয়া সরকার উপপ্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকেই রাজনীতিতে জড়ান আজিজাহ। বিরোধী জোট গঠন করে স্বামীর মুক্তির জন্য আন্দোলন চালিয়ে যান। সংস্কারের জন্য শুরু করেন প্রচারণা। গত ৯ মের নির্বাচনে ক্ষমতা হাতে পায় তার দল। ১৯৫৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর এই প্রথম মালয়েশিয়ার ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটলো।
নমনীয় কণ্ঠের এই নারী রাজনীতিবিদ জানান, নারীদের ওপর যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কাজ করবেন তিনি। আজিজাহ বলেন, ‘যৌন হয়রানিবিরোধী ও সহিংসতাবিরোধী কিছু আইনে পরিবর্তন আনতে হবে।’ এছাড়া কর্মক্ষেত্রে নারীদের সহায়তাদান, বিশেষ করে মায়েদের জন্য কাজের পরিবেশ উন্নয়নের কথাও জানিয়েছেন তিনি।