শান্ত বণিক : মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায়স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন।
মঙ্গলবার বিকেলে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদীর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন, নরসিংদী স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক ড. এটিএম মাহবুবুল করিম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মোতালিব পাঠান, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর সুর্য্যকান্ত দাস। সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম মোস্তাফা মিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। যাতে জাতির নের্তৃত্বদানে পথভ্রষ্ট না হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায় থেকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের উদ্ধুদ্ধ করার গুরু দায়িত্বভার মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের কাঁধে। তাহলেই জাতি সঠিক পথে এগুবে এবং বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানবে ও জানাবে। তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে জাতীয় চার নেতার কূটনৈতিক সফলতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভে অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। তাই দিবসটিকে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জনের একটি মাইলফলক হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনিস আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আমরা ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ নামক রাষ্ট্র পেতাম না। তাই সবাইকে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য ও গান পরিবেশন করা হয়।