জাকির সিকদার : ঢাকা সাভারের কাছেই ধামরাই নামক স্থানে রবিবার রাতে পানির সাথে ঘুমের ট্যাবলেট খাওইয়ে ঠান্ডু মিয়া নামের এক যুবককে হাত-পা ও মুখ বেধে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রেমিকা সাজু নামের দুই সন্তানের জননী। তার লিঙ্গ কেটে নেয় খুনী। এ ঘটনায় ওই প্রেমিকাকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে চৌহাট ইউনিয়নের দ্বীমুখা গ্রামে। ঠান্ডু মিয়া দ্বীমুখা গ্রামের জলিল উদ্দিনের ছেলে। পেশায় ফ্ল্যাক্সি লোড ও বিকাশ এজেন্টের ব্যবসায়ী এবং পল্ল¬ী পশু চিকিৎসক ছিলেন। সাজু একই গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের স্ত্রী। মোয়াজ্জেম ঢাকায় থেকে একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর পিয়ন পদে চাকরি করেন। পুলিশ ও আটক সাজু জানায়, রবিবার রাত পৌনে এগারটার দিকে ঠান্ডু মিয়া (২৮) সাজু বেগমের ঘরে ঢোকে। যৌনমিলনে দীর্ঘ সময় থাকার প্রলোভন দেখিয়ে ঠান্ডুকে ঔষধ মেশানো ৩০টি ঘুমের ট্যাবলেট এক গ্ল¬াস পানি খেতে দেয় সাজু। ওই পানি পান করার পরই অচেতন হয়ে পড়ে ঠান্ডু। এরপর রশি ও গামছা দিয়ে ঠান্ডুর হাত-পা ও মুখ বেধে প্রথমে বটি দা দিয়ে লিঙ্গ কেটে ফেলে। পরে দেহের বিভিন্ন অংশে উপর্যুপরি বটি দা দিয়ে
কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। নিশ্চিত মৃত্যু জেনে ঠান্ডুকে ওই রাতেই বাড়ীর পাশের রাস্তায় কিনারে ফেলে রাখে সাজু। সোমবার সকালে এলাকাবাসী ঠান্ডুর মৃতদেহ রাস্তায় পড়ে আছে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কাউয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলাম লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়।
এস আই রাকিবুল ইসলাম জানান, হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে তাৎক্ষণিকভাবে সাজু বেগমকে আটক করা হয়। ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ রিজাউল হক বলেন, আটক সাজু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঠান্ডুকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে এবং কিভাবে হত্যা করেছে তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। সম্প্রতি ঠান্ডু বিয়ে করার জন্য বিভিন্ন স্থানে পাত্রী খুঁজছিলো। এ কারণে রাগের বশবর্তী হয়ে ঠান্ডুকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার সাতারপাড়া গ্রামের সাজু বেগমের পিতার বাড়ী। তার আগেও একটি বিয়ে হয়েছিল। ভালবাসা করে মোয়াজ্জেমের সঙ্গে প্রায় ১৭ বছর আগে বিয়ে হয় সাজুর। তাদের ঘরে পিয়া (১৫) ও মিম (৮) নামের দু‘টি কন্যা সন্তান রয়েছে।