চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে, মাত্র ৪’শ টাকার রোজে কোয়ারি নামক মৃত্যুপুরীতে পাথর উক্তোলন করতে গিয়ে প্রাণ গেল এক পাথর শ্রমিকের। নিহত শ্রমিকের নাম, নাজিম উদ্দিন (৪০)। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর গিলাছড়া গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর পুত্র।
জানা যা, গত ১৮ডিসেম্বর বিকেলে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায় অবৈধভাবে জবরদখল করে পাথর লুটেরাদের দৈনিক ৪’শ টাকা মজুরি ভিত্তিতে পাথর উক্তোলনের কাজ করতেন দরিদ্র শ্রমিক নাজিম উদ্দিন। ঘটনার দিন পাথর উক্তোলন করার সময় টিলার মাটি ধ্বসে পাথর চাঁপায় মর্মান্তিভাবে মৃত্যুবরণ করেন নাজিম। সাথে থাকা শ্রমিকরা নাজিমের লাশ নিয়ে সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর ইউপির শাহ আরেফিন টিলা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে টিলা কাঁটার মুলহোতাও অবৈধভাবে টিলা দখলকারীদের একজন বশর মিয়া রোববার বিকেলে সাড়ে ৫টায় মুঠোফোনে এ প্রতিবেদকে বলেন, আমার কোয়ারীতেই পাথর চাঁপায় নাজিম মরি গেছে, লাশ তার সাথের মাইনষে সিএনজি দি বাড়িত লই গেছেগি।’ শ্রমিকের মৃত্যুর ব্যাপারে থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে কী- না এমন প্রশ্নের উত্তরে বশর বলে, কিতা জানাইতাম, কত শ্রমিক রোজ মরের, কার খবর কে লয়? পুলিশ-টুলিশ জানানি লাগেনা আমরার।’
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বায়েছ আলম পৌনে ৫টার দিকে মুঠোফোনে বলেন, শ্রমিক নিহত হওয়ার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি, পুলিশকে অবহিত না করে লাশ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়াটা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করা হয়েছে, আমি টিলায় পুলিশ পাঠিয়ে এ ব্যাপারে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেব।’ নরসিংপুর ইউপি চেয়ারম্যান নূর উদ্দিন ও ইউপিসদস্য ফজলু মিয়া জানান, নাজিম উদ্দিনের মৃত্যুর ব্যাপারে থাানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্যে বলেছি। জানা গেছে, ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়ন ও তোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর ইউনিয়নের পাশেই শাহ আরেফিন টিলা কেটে পাথর উত্তোলন করছে প্রায় ১০সহ¯্রাধিক পাথর শ্রমিক।