চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: নগরীতে দৈনিক ৩০ হাজার জার মিনারেল ওয়াটারের চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় দুই টাকার পানির জন্য হোটেলে ভোক্তাকে ১৫ টাকার বোতল কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ক্যাবের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, টাকা দিয়ে নিরাপদ পানি চায় মানুষ। কিন্তু মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে।
সভায় বিএসটিআই, ভোক্তা অধিকার, ক্যাব, ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফেকচারিং প্রতিষ্ঠান মালিক সমিতি, আইসবার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসটিআই প্রতিনিধি বলেন, চট্টগ্রামে ৪০টি কারখানার লাইসেন্স আছে। ১৬টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২১টি আবেদন করেছে। মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাব চালু না হওয়ায় চট্টগ্রামে পরীক্ষা করা যায় না। ঢাকা পাঠাতে হয়। আশা করা হচ্ছে দুই মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে বিএসটিআই পরীক্ষাটি করা যাবে।
সভায় একজন মালিক বলেন, চট্টগ্রামে পানি কারখানার মালিকদের দুটি সংগঠন থাকায় প্রতিদিনই সংঘাত হচ্ছে। এ দুটি সংগঠনকে এক করে দিলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।
আরেকজন মালিক অভিযোগ করে বলেন, দুই লাখ টাকা না দিলে ঢাকা বিএসটিআই ল্যাবে ড্রিংকিং কারখানার নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ রেজাল্ট আসে না।
সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, পানির অপর নাম জীবন। তাই পানিতে ভেজাল, অনিয়ম সহ্য করা হবে না। লাইসেন্সবিহীন কোনো কারখানা থাকলে অভিযান চালানো হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা নয়, এবার জেলে ভরা হবে। কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।