মোঃ আরিফ জাওয়াদ, দিনাজপুর:- অস্বাস্থ্যকর-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে অনায়াসে খাবার তৈরি করে যাচ্ছে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অলি-গলিতে গড়ে উঠা ব্যাঙের ছাতার মত বিভিন্ন খাবার তৈরির কারখানা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে তাদের তৎপরতাকে দমিয়ে রেখেছে। আর এ সুযোগ নিয়ে দাপটের সঙ্গে খাদ্য উৎপাদন সহ বাজার-জাত করে আসছে এসব কারখানা বা বেকারী গুলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- খাদ্যের গুণগতমান নষ্ট করে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অদক্ষ কারিগর দ্বারা তৈরি হচ্ছে বিস্কুট, কেক, রুটিসহ নানা প্রকারের মুখরোচক খাদ্য সামগ্রী যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। সেই সঙ্গে খাবারকে আর্কষণীয় করে তোলার লক্ষে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক রং।
এসব কারখানা বা বেকারিগুলোতে খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে তাদের নিজস্ব ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে বাজার-জাত করা হয়। বিএসটিআই এর অনুমোদন না সত্ত্বে এসব মেয়াদহীন খাদ্যে’র প্যাকেটে বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে। যা সাধারণ জনসাধারণকে দ্বিধার মধ্যে ফেলছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ‘বিশুদ্ধ খাদ্য বিল ২০০৫’ নামে একটি আইন পাস হয়েছে। এ আইনে দোষী ব্যক্তির ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং সর্বোচ্চ ৩ বছর সাশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রাখা হলেও, আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় দম্ভের সাথে তৈরি হচ্ছে মানহীন এসব খাবার। প্রশাসনের তৎপরতার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে এসব কারখানা উৎখাত করার দাবি জানায়, সচেতনমহল।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বজলুর রশিদ জানায়, উপজেলাতে ভেজাল বিরোধী কার্যক্রম উৎখাত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। খুব শ্রীগই আড়ালে থাকা এসব কারখানাগুলোকে আইন আওতায় এনে উৎখাত জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, বলে আশ্বাস দেন তিনি।