যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে ১৮টি কিস্তিতে এই অনুদান দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ইউএসএ স্পেন্ডিং ডট গভ। এতে বলা হয়েছে, হিলারি ক্লিনটন সরকারি কাজের সঙ্গে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের দাতাদের মিলিয়ে ফেলছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক থেকে তিন লাখ মিলিয়ন ডলার ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে অনুদান হিসেবে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট।
এদিকে, ড. ইউনূসের মিত্র গোষ্ঠী ইউএসএআইডির কাছ থেকে আরো ১১ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এদের সবার সঙ্গেই ড. ইউনূসের সম্পর্ক আছে।
ডেইলি কলার বলছে, দরিদ্র মানুষকে ছোট ছোট ব্যবসায় সাহায্য করতে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করেছেন। বাংলাদেশের অনেক দারিদ্র্য বিমোচন কর্মীর কাছে তিনি দেবদূতের মতো। তিন দশক ধরে ড. ইউনূসের বড় একটি সহায়ক হিসেবে কাজ করেছেন বিল ক্লিনটন ও হিলারি ক্লিনটন। বিভিন্ন স্থানে বিখ্যাত ব্যক্তি হিসেবে ড. ইউনূসকে পরিচয় করিয়ে দিতে এ দুজনের দারুণ অবদান রয়েছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ব্যক্তিগতভাবে নানা লবি ও অভিযানের মাধ্যমে ২০০৬ সালে ড. ইউনূসকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিতে নোবেল কমিটির ওপর চাপ দেন।
দাপ্তরিক কাজকর্মের সঙ্গে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের কাজকর্ম মিলিয়ে ফেলার হিলারি প্রবণতাকে বারবার যেভাবে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, একইভাবে কম আলোচনায় এসেছে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (এফবিআই) করা দুর্নীতির তদন্তের কথা। নিজের ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করে সরকারি কাজ করার বিষয়ে তদন্ত হয়েছিল।
বাংলাদেশ সরকার যখন ড. ইউনূসের বিষয়ে তদন্ত শুরু করল, তখন নিজের মার্কিন কূটনীতিক হওয়ার পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে ইউনূসের পক্ষ নিয়েছিলেন হিলারি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে হিলারি ক্লিনটন বলেন, ‘আমরা ড. ইউনূসের বিষয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা সরাসরি বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছি। আশা করছি, আগের মতোই গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করা অব্যাহত রাখতে পারবে।’
হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে তাঁর ই-মেইলগুলো ফাঁস হয়ে গেলে দেখা যায়, ড. ইউনূসের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের করা তদন্তের ওপর গভীর দৃষ্টি রাখছিলেন বিল ও হিলারি ক্লিনটন। তাঁদের ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছেন ড. ইউনূস। ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে ড. ইউনূসকে ৩৭টি স্থানে তুলে ধরার কথা উল্লেখ আছে।
ডেইলি কলার জানায়, কনজারভেটিভ দলের অনেক সমর্থকের দাবি, ক্লিনটন দম্পতি ও ড. ইউনূসের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে এফবিআইর তদন্ত করা উচিত। এ দুই পক্ষের সম্পর্ক বেশ পুরোনো। বিল ক্লিনটন যখন আরকানসার গভর্নর ছিলেন, তখনই ড. ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণের ধারণার প্রেমে পড়েন হিলারি। সে সময় ইউনূস ছিলেন একজন বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ।