যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়া ব্যালাস্টিক মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছে। এরমাধ্যমে ট্রাম্পকে থোড়াই কেয়ার করে জাপানকে স্পষ্টতই হুঁশিয়ারির ইঙ্গিত দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
কোরিয়া উপদ্বীপের পশ্চিমে উত্তর পিয়ঙ্গান প্রদেশের বাঙ্গিয়ন বিমান ঘাঁটি থেকে স্থানীয় সময় রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে এ ব্যালাস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়। মিসাইলটি জাপান সাগরের পূর্বে ৫০০ কিলোমিটার দূরে বিধ্বস্ত হয়। আর এতে বেশ উদ্বিগ্ন জাপান। দক্ষিণ কোরিয়া তো বরাবরই এসব পরীক্ষার বিরুদ্ধে জরালো প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে নিন্দা জানিয়েছেন। এ পরীক্ষাটি এমন সময় চালানো হলো যখন প্রধানমন্ত্রী আবে যুক্তরাষ্ট্রে সফররত।
এ বিষয়ে ট্রাম্প শিনজো আবেকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমেরিকা জাপানের বন্ধু হয়ে শতভাগ পাশে থাকবে। এদিকে, উত্তর কোরিয়ার এ পরীক্ষা চালানোর বিষয়ককে ‘একেবারে অসহনীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কোনো রকম পাত্তা না দিয়ে ২০১৬ সালজুড়ে উত্তর কোরিয়া ব্যালাস্টিক মিসাইল ও পরমাণবিক পরীক্ষা আব্যাহত রেখেছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ডামাডোলে মাঝখানে কিছুদিন উত্তর কোরিয়া এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা বদ্ধ রেখেছিলো।
ভাবা হচ্ছিলো- যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর হয়তো উত্তর কোরিয়ার ব্যালাস্টিক মিসাইল ও পরমাণবিক পরীক্ষা কার্যক্রম শীতিল হতে পারে। কিংবা উত্তর কোরিয়ার প্রধান নেতা কিম জং উনয়ের নীতি-পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসতে পারে। কিন্তু ‘কিম জং বড্ড বেয়াড়া’। ফলে যা হবার তাই। কাউকে বিন্দু পরিমাণ ভ্রুক্ষেপ না করে উত্তর কোরিয়া তাদের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার অভিযান ট্রাম্প যুগে এসে নতুনভাবে চালু করলো।