ঈদে রাজধানী ফাঁকা হওয়ার পরও বৃষ্টির বাগড়ায় নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। সবজি কিনতে গিয়ে চড়া মূল্য গুনতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে।এর কারণ হিসেবে বৃষ্টি এবং অপর্যাপ্ত সরবরাহকেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা কিনতে আসছেন যে টার্গেট নিয়ে, ফিরছেন তার অর্ধেক কিনে।
রোববার রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে । তবে মাংস এবং মাছের দাম তেমন বাড়েনি।
সবজি বিক্রেতারা বলেছেন, ঈদের পর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এই মূল্যবৃদ্ধি। তাছাড়া গত দুদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণেও দাম কিছুটা বেড়েছে।
সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েচে কাঁচা মরিচের। বাজারভেদে কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। যা ঈদের আগে ছিল ৬০-৮০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে সরবরাহকারীদের কাছ থেকে বেশি দামে আমাদের কিনতে হচ্ছে। এ ছাড়া বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, কাকরোল ৩০ থেকে বেড়ে ৪০/৪৫ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে, ঢেঁড়শের দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা করে। এ ছাড়াও লাউ শাক, কচু শাক, পুঁই শাকসহ সব শাকের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
হাতিরপুল কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা নজরুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে জানান, বৃষ্টি চলতে থাকলে জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়তে থাকবে। কারণ বৃষ্টিতে সব ধরনের সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়। আর চাষিরাও ক্ষেত থেকে সবজি তুলতে পারেন না। চড়া মূল্যে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সবজি কিনতে হচ্ছে সরবরাহকারীদের। এ কারণে আমাদেরও কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের মাংস বিক্রেতা বশির উদ্দিন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ঈদের আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪০০ টাকা করে বিক্রি করেছি।আজও একই দরে বিক্রি করছি। কি করব বলেন, যে বৃষ্টি পড়তাছে দুদিন ধরে, এতে বিক্রি আজ কম হচ্ছে।’
ওই বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোবারক হোসেন বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগি ১৮৫ টাকা এবং লেয়ার মুরগি ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি। আজ বৃষ্টির কারণে বেচাবিক্রি কম হচ্ছে।’
ওই বাজারে দুপুরে কাঁচাবাজারে ক্রেতা মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘সবজি কিনতে এসে চরম বিপাকে পড়েছি। বিশেষ করে শসার দাম শুনে তো মাথায় হাত দিতে হচ্ছে। প্রতি কেজি শসার দাম ১০০ টাকার ওপরে চাচ্ছে। তবু কি আর করা, আত্মীয়-সজন আসবে। ঈদের আগে যা কিনেছি, তা তো শেষ হয়েছে।’