ডেস্ক নিউজ : কারাগার কোনো আরাম আয়েশের জায়গা নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেছেন, ‘যারা দণ্ডপ্রাপ্ত হয়, তাদেরকেই জেল-খানায় পাঠানো হয়। সেখানে কষ্ট হবেই। জেলখানা কোনো ফার্স্ট ক্লাস কেবিন নয়।’
শুক্রবার বিকালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতা।
দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর পর থেকে তাকে পর্াপ্ত সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে আসছিল বিএনপি।
আবার খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর সময় তার আইনজীবীরা আদালতের কাছে ডিভিশন দেয়ার আবেদন না জানানোয় কারা কর্তৃপক্ষ তাকে সাধারণ কয়েদির মতোই রাখে। পরে তিন দিন পর আইনজীবীদের আবেদনে আদালতের আদেশে ডিভিশন দেয়া হয় খালেদা জিয়াকে।
বিএনপির অভিযোগ জাল-জালিয়াতির মামলায় তাদের নেত্রীকে সাজা দেয়া হয়েছে। মামলাটিতে অভিযোগ ছিল ১৯৯১ সালে বিদেশ থেকে আসা এতিমদের জন্য টাকা ব্যক্তির নামে ট্রাস্ট করে সেখানে পাঠানোর। সে সময় দুই কোটি ১০ লাখেরও বেশি টাকা পাঠানো হলে ১৯৯৩ সালে বগুড়ার গাবতলীতে জমি কেনা হয়। কিন্তু এরপর আর কিছুই করা হয়নি। আবার ট্রাস্টের টাকা পরে একাধিকবার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে এফডিআর করে রাখা হয়।
ফারুক খান বলেন, ‘২৮ বছর পার হয়ে গেছে, কিন্তু জিয়ার নামে এখনো কোন এতিমখানা তৈরি করা হয়নি। এতিমদের জন্য কিছুই করা হয়নি। তিনি (খালেদা জিয়া) কৌশলে এতিমদের টাকা কুক্ষিগত করেছেন।’
সরকার আদালতকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে-বিএনপির এমন অভিযোগ সত্য নয় বলেও জানান ফারুক খান। বলেন, ‘তিনি অপরাধী বলে আদালত তাকে সাজা দিয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের কোনো হাত নেই।’
মাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বালা মোল্লার সভাপতিত্বে সমাবেশে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন, কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় নেতারা এ সময় বক্তব্য রাখেন।