অস্ত্রধারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা গুলশানের হোলি আর্টিজান থেকে জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নৌবাহিনীর কমান্ডো, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের সমন্বয়ে এ প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানাচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
গত রাত সাড়ে আটটার পর অস্ত্রধারীদের একটি দল রেস্টুরেন্টটিতে আক্রমণ করে এবং অনেককে জিম্মি করে।
শুরুতেই অস্ত্রধারীদের বোমা ও গুলিতে অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত হয়ে মারা গেছেন ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
ওদিকে জিম্মিদের মধ্যে বিদেশী নাগরিক অনেক রয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম খবর দিচ্ছে।
গুলশানের এ রেস্টুরেন্টটি বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
মূলত সকালে ও রাতে বিদেশীরা এখানে ভিড় করতেন বলে জানিয়েছেন রেস্টুরেন্টটিতে নানা সময়ে গিয়েছেন এমন অন্তত দুজন।
ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানের এক রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে খবর দিচ্ছে এই গোষ্ঠীর বার্তা সংস্থা বলে পরিচিত ‘আমাক’।
এতে আরও দাবি করা হচ্ছে, হামলায় বিশ জন নিহত হয়েছে।
তবে ঢাকার কোন সূত্র থেকে এখনো পর্যন্ত এত বেশি সংখ্যক হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।