‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৯ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ে ইনিংসের ২৯তম ওভারে বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে গেলে আর তাদের ইনিংস মাঠে গড়ায়নি। বাংলাদেশ পায় ২২ ওভারে ১৩০ রানের লক্ষ্য। টপ অর্ডারের দৃঢ়তায় ৬৪ বল বাকি থাকতে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে তারা।
সেনওয়েস পার্কে শনিবার টস জিতে ফিল্ডিং নেয় বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে ফিরিয়ে দেয় ওয়েসলি মাদভেরেকে। এমানুয়েল বাওয়া ও মিল্টন শাম্বা সামাল দেন শুরুর ধাক্কা।
বাওয়াকে ফিরিয়ে ৩৭ রানের জুটি ভাঙেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ৩২ বলে ২৮ রান করা শাম্বাকে থামান শরিফুল ইসলাম। উইকেট শিকারে শামীম হোসেনও যোগ দিলে বিপদ বাড়ে জিম্বাবুয়ের।
২০ রানের মধ্য ৪ উইকেট হারিয়ে পথ হারানো জিম্বাবুয়েকে টানেন টাডিওয়ানশে মারুমানি। দুটি করে ছক্কা ও চারে ৩১ রান করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে দেন রকিবুল হাসান।
এর খানিক পর বৃষ্টির বাধায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়, তখন জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ২৮.১ ওভারে ১৩৭/৬।
রান তাড়ায় বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তানজিদ। মাত্র ১০ বলে তিনটি করে ছক্কা ও চারে বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যান করেন ৩২ রান। প্রথম ২ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৪১ রান।
মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে বাকিটা সহজে সারেন পারভেজ। ছক্কায় ৩১ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে দুটি ছক্কা ও পাঁচটি চারে ৫৮ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তার সঙ্গে ৯১ রানের জুটি গড়া মাহমুদুল পাঁচ চারে ২৬ বলে করেন ৩৮ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ২৮.১ ওভারে ১৩৭/৬ (মাদভেরে ১৮, বাওয়া ২৭, শাম্বা ২৮, মায়ার্স ১, মারুমানি ৩১, ওল্ডনো ১, সাডেনডর্ফ ২২*, টাগওয়েটে ২*; তানজিম ৬-০-৪১-১, শরিফুল ৫-১-২৫-১, মৃত্যুঞ্জয় ৪.১-২৮-১, শামীম ৮-০-২৩-১, রকিবুল ৫-০-১৯-১)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: (লক্ষ্য ২২ ওভারে ১৩০) ১১.২ ওভারে ১৩২/১ (তানজিদ ৩২, পারভেজ ৫৮*, মাহমুদুল ৩৮*; মায়ার্স ২.৩-০-২৬-১, গ্র্যান্ট ২-০-৪৯-০, মাদভেরে ৪-০-২৬-০, সাখুমুজি ২.৫-০-৩১-০)