ডেস্ক নিউজ : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণকে ধোঁকা দিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এমন চুক্তি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, কবে থেকে ফিরিয়ে দেবেন এ রকম কিছু বলা হয়নি।
শনিবার বেলা ১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিতে একটি চুক্তি করা হয়েছে। এটা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণকে ধোঁকা দিতে করা হয়েছে। বলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হবে। কিন্তু কতদিনের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে তা বলা হচ্ছে না। রোহিঙ্গা চুক্তি করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে কতদিনের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে তা স্পস্ট উল্লেখ ছিল।
তিনি বলেন, আজকে একটু পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি সমাবেশ আছে। সেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের মিছিল নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আসতে বাধ্য করা হচ্ছে। আজকের জনসভা একটি উন্মুক্ত জনসভা। আর কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়াকে জনসভা করার জন্য ২৩টি দফা দেওয়া হয়েছিল। রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। জনসভা হবে কিনা এটাই তখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হলে ঠিক একই চিত্র দেখা যাবে।
‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন : প্রয়োজন নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন। এ ছাড়া শামসুজ্জামান দুদু তার বক্তব্যে বলেন, দেশে গণতন্ত্র থাকলে আওয়ামী লীগ থাকে, কিন্তু আওয়ামী লীগ থাকলে গণতন্ত্র থাকে না। আজকে দেখেন সরকারি সকল কর্মকর্তারা ঘোষণা দিয়ে মিছিলে যাচ্ছেন। শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ একটা রাজনৈতিক ভাষণ। তিনি একটা নির্দিষ্ট দলের রাজনীতি করতেন। সে দিনের তার ভাষণ ভালো ছিল কিন্তু আজকে মন্ত্রিপরিষদসচিব ঘোষণা দিয়ে যেভাবে মিছিলে যাওয়ার জন্য বলেছেন এটা কি প্রমাণ করে?