পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এই আবেদন করেন।
বিচারক আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন মজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, “আমরা আবেদনে বলেছি যে পরীমনি অসুস্থ। তিনি অনেকগুলো নির্মিতব্য সিনেমার অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের নাম ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন। তার গ্রেপ্তারের কারণে সিনেমার কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। এটা শুধু প্রযোজক, পরিচালক আর দর্শক নন, রাষ্ট্রেরও ক্ষতি ।”
গত ৪ অগাস্ট রাতে ঢাকার বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে এ মামলা করা হয়। জব্দ তালিকায় পরীমনির বাসা থেকে ‘মদ এবং আইস ও এলএসডির মতো মাদকদ্রব্য’ উদ্ধারের কথা বলা হয়।
ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম গত ১৯ অগাস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে এ মামলায় তৃতীয় দফায় আরও এক দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।
সেই রিমান্ড শেষে পরীমনিকে শনিবার আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। তদন্ত কর্মকর্তা তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
কিন্তু পরীমনির আইনজীবীরা জামিনের কোনো আবেদন এদিন করেননি। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমাম পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জামিন আবেদন না করায় শুনানি শেষে পরীমনি প্রকাশ্যেই তার আইনজীবীদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী ও কামরুজ্জামান চৌধুরীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনারা জামিন চান না কেন? আমি তো পাগল হয়ে যাচ্ছি।”
“আপনারা বুঝতেছেন, আমার কী কষ্ট হচ্ছে? আপনাদের নিজেদের মধ্যে কী হয়েছে? কেন জামিন চাচ্ছেন না?”
পরীমনির এমন প্রশ্নের বিষয়ে পরে তার প্রধান আইনজীবী মজিবুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছিলেন, “আমি জামিন চাইনি কিছু টেকনিক্যাল কারণে। কেন জামিন চাইনি সেট সবাই জানে, সবাই বুঝতে পারে।”
সূত্র, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম