ডেস্ক নিউজ: গত মধ্যরাত থেকে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিক্যুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষিকা মাহাবুবা খাতুন এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিস আফ্রিদি’র অন্তরঙ্গ স্থিরচিত্র। এর আগে ১৯ মে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ছেলের ফেসবুক প্রোফাইলে “গট ম্যারিড” পোস্ট আসে। তখনই তার সহপাঠীমহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
সোমবার ২১ মে মাহাবুবা খাতুন তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর তার ব্যক্তিগত মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। নাফিস আফ্রিদিও ধরাছোঁয়ার বাইরে আত্নগোপনে রয়েছেন।
রাজশাহী’র মেয়ে মাহবুবা খাতুন সাভারে অস্থায়ী ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার আট বছর বয়সী একটি ছেলে-সন্তান রয়েছে। নাফিস আফ্রিদিরও গ্রামের বাড়ি রাজশাহী। তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ৩য় বর্ষ (৫ম সেমিস্টার) এর শিক্ষার্থী।
এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষূন্ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। শিক্ষার্থীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজমান। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে কানা-ঘুষা চলছে এ বিষয় নিয়ে।
বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ শাকিল মাহমুদ জানান, “এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই। এসব নিতান্তই তাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কিত। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই পারে”
সঠিক শিক্ষাই মানুষকে জীবনের দিশা দেখায়। প্রকৃত মানুষ করে তোলে। তাই শিক্ষকতাকে মহান পেশা বলে মনে করা হয়। সর্বত্রই শিক্ষকদের আলাদা সম্মান দেওয়া হয়। কিন্তু এ শিক্ষিকার ঘটনায় হতবাক সকলেই।
সূত্র: বিডিলাইভ২৪