বিশেষ প্রতিবেদকঃ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাঈদ খান শাওনের বিরুদ্ধে মসজিদের এক ইমামকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ইমাম সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে যার অনুলিপি কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে দেওয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের উত্তর চাতলগাঁও গ্রামে সাঈদ খান শাওনের বাড়ি। পবিত্র ঈদ উল আযহার দিন সকাল সাড়ে ১০টায় পঞ্চায়েতের প্রধান মোঃ ইছহাক আলীর বাড়িতেমসজিদের ইমাম মোঃ সামছুল ইসলাম আসলে এসময় ছাত্রলীগ নেতা সাঈদ খান শাওন মসজিদের ইমামকে গিয়ে তার গরু জবাই করার কথা বললে মসজিদের ইমাম তাকে বলেন যে তিনি ধারাবাহিকভাবে সবার বাড়িতে গিয়ে গরু জবাই করবেন। এ কথায় শাওন ক্ষিপ্ত হয়ে ইমাম সাহেবকে বলেন আগে আমার গরু জবাই করবেন পরে অন্যদের। এতে ইমাম সাহেব অপারগতা প্রকাশ করলে শাওন ইমামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পঞ্চায়েত প্রধানের সামনে থেকে ইমাম সাহেবের পাঞ্জাবির কলার ধরে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গরু জবাই করে। ঘটনার দু’দিন পর উত্তর চাতলগাঁও পঞ্চায়েত কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টি ইমাম সমিতিকে জানানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা সাঈদ খান শাওনের পিতা মোঃ মুহিম খান তাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির এক নিকটাত্মীয় রউফ আহমদ শিবলু নামক এক ঠিকাদারের কাছ থেকে ব্রিক ফিল্ডের পার্টনারশীপ দেওয়ার কথা বলে ২০ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে। এ নিয়ে ঠিকাদার শিবলু শাওন ও তার পিতার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি জানালে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হলে এরই জের ধরে গত ঈদ উল আযহার দিন শিবলুর বাড়ির পেছনে শাওনকে বেধড়ক প্রহার করেন শিবলু ও তাঁর স্বজনরা। এ ব্যাপারে শিবলু জানান, ঈদের দিন সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে আমি আমার বাড়ীর পেছনে একা দাঁড়িয়েছিলাম, আমাকে একা দেখতে পেয়ে শাওন ও সাঙ্গপাঙ্গরা আমার উপর হামলা চালালে আমার আর্তচিৎকারে আমার ছেলে ও ভাতিজারা বেরিয়ে আসলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ হয়।