চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ)ঃ সুনামগঞ্জের ছাতকের বহুল প্রতীক্ষিত কুমনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অব্যাহত শিশু নির্যাতনের ঘটনার দু’সপ্তাহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। রোববার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা অফিসে প্রেরণ করা হয়। জানা যায়, গত ২৬সেপ্টেম্বর শহরের কুমনা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিকুর রহমান চিরাচরিত নিয়মে ৫ম শ্রেণীর ছাত্র শিশু মিজানুর রহমানকে নির্যাতন করলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ঘটনার পর তিনি সভাপতি কুটি মিয়ার সামনেই দম্ভোক্তি করে বলেন, পড়া না পেলে সব শিক্ষার্থীর উপর তিনি নির্যাতন করে থাকেন। পরে তার চাচা মাহমুদ আলম শিক্ষা অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ করলে ওই দিনই এটিইও এনামুর রশীদ বাবরকে তদন্তভার দেয়া হয়। কিন্তু শিক্ষা অফিস থেকে মাত্র কয়েকশ’গজ দূরে কুমনা বিদ্যালয় থাকলেও এখান থেকে তিনি দু সপ্তাহে রিপোর্ট সংগ্রহ করেন। বাদিসহ অভিবাবকদের মধ্যে সংশয়ও সন্দেহ ছিল তদন্ত রিপোর্টের ভবিষ্যত নিয়ে। তদন্ত কর্মকর্তাসহ গোটা উপজেলা প্রশাসনের বিষয়টি ধাঁমাচাঁপার অপচেষ্টা ছিল লক্ষ্যনীয়। ৩অক্টোবর প্রশাসনের অলিখিত নির্দেশে কয়েকজন অবুঝ শিশুর সমন্বয়ে কথিত মানববন্ধনের নামে শিশু নির্যাতনকারির পক্ষে সাফাই দেয়া হয়। যদিও তাদের এ তৎপরতা অবশেষে ধুপে ঠেকেনি। বহু নাটকীয়তার পর ৯অক্টোবর তদন্ত রিপোর্ট সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রেরন করা হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (প্রাথঃ) মানিক চন্দ্র দাস জানান, আজ (অক্টোবর) সকালে সুনামগঞ্জে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তবে রিপোর্টটি তার বিরুদ্ধেই গেছে বলে তিনি আশ্বস্থ করেন। এতে তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসছে কিনা এনিয়ে জনমনে সন্দেহ ও সংশয় বিরাজ করছে।