ছাইয়েদুল ইসলাম, চীন থেকে: চীনের সাংহাই শহরে ‘দ্বিতীয় চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট এক্সপো ২০১৯’ (সিআইআইই) এ অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ।
৫ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সাংহাই এর জাতীয় সম্মেলন ও প্রদর্শনী কেন্দ্রে যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সাংহাই পৌর কর্তৃপক্ষ।
মেলার উদ্বোধন করেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, মেলায় অংশ নেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ। এতে বাংলাদেশের ৯টি সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বেশকিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও অংশ নেয়।
৬টি আলাদা সেমিনারে বক্তব্য দেন বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও বাজার বিশ্লেষকরা। পুরো প্রদর্শনীকে ৭টি ভাগে করা হয়। এতে দেড় শতাধিক দেশের ৩ হাজার প্রতিষ্ঠানের স্টল ছিল। খাবার, তৈরি পোশাক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞান সামগ্রী ও নতুন উদ্ভাবনের প্রদর্শনী হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মেলার ফোরামে এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিচালক (টেক্সটাইল) মো. শামসুউদ্দীন আহমেদের পরিচালনায় ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে অংশ নেন।
চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃকক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন কর্তৃপক্ষ (জেডিপিসি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এর মহাপরিচালক অভিজিত চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সেই সম্পর্ককে আরো দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বর্তমান সরকারের যে পলিসি, সেই পলিসি ও নীতি অনুযায়ী আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ব্যবস্থাপনায় এবারে চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছি। চীন সরকার আমাদেরকে ফ্রি স্টল এবং সুন্দর ডিজাইন ব্যবস্থা করে দিয়েছে। পরপর দুইবার এক্সপো অংশগ্রহণ করার ফলে চীন সরকার সঙ্গে আমাদের আরও গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এক্সপোতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি আসার ফলে বাংলাদেশকে তাদের কাছে উপস্থাপন করতে পেরেছি।”
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এর চেয়ারম্যান মো. মোস্তাক হাসান এনডিসি বলেন, “বিসিক সম্প্রতি একটি মেগা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আছে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ হাজার একর জমির মধ্যে ৫০টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করা। প্রধানমন্ত্রী তিন কোটি লোকের কর্মসংস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন। বিসিকের পক্ষ থেকে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান আমরা করবো। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কগুলোতে দেশীয় উদ্যোক্তার পাশাপাশি বিদেশি উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করতে চাই।”