ঢাকা প্রতিনিধি :: জামিনে মুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সোমবার রাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন ফখরুল। তার সঙ্গে স্ত্রী রাহাত আরাও ফিরেছেন।
নিউ ইয়র্ক থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন ফখরুল। ঢাকা থেকে গত ২৭ জুলাই সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন তিনি। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান।
রাত পৌনে ১১টায় বিমান বন্দরে নেমে ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, “সিঙ্গাপুরের পরে আমি কর্নেল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে চিকিৎসা নিয়েছি। এখন কিছুটা ভালো বোধ করছি। তবে চিকিৎসা এখনও চলছে। আবার ৬ মাস পরে যেতে বলা হয়েছে।”
ঈদ করতে মঙ্গলবার নিজের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে যাবেন বলে জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
নাশকতার মামলার আসামি ফখরুল সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছিলেন। এসব মামলা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বলে বিএনপির দাবি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “দেশে গণতন্ত্রের সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে। এখন দেশে একটা রাজনৈতিক সঙ্কট বিরাজ করছে। এ্ থেকে উত্তরণে একমাত্র পথ হচ্ছে গণতান্ত্রিক উপায়ে লক্ষ্যে পৌঁছানো। গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রাম করছে এবং করবে।”
ফখরুল ফেরার আগেই তার দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য লন্ডন গেছেন। ছেলের সঙ্গে ঈদ করে ফিরবেন তিনি। যাওয়ার আগে দল গোছানোর নির্দেশ দিয়ে গেছেন তিনি।
ফখরুল বলেন, “আশা করি, পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সফল হবে। আমাদের নেতৃবৃন্দ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, তারা সাফল্যের সঙ্গে সফল করতে সক্ষম হবেন।”
অসুস্থ হলেও ‘রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার’ সঙ্গেই থাকছেন বলে জানান সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।
দলীয় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে নিতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, আবদুল কাইয়ুম, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আসাদুজ্জামান রিপন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করীম শাহিন, শিরীন সুলতানা প্রমুখ।
মস্তিস্কের ক্যারোটিড আর্টারিতে দুটি ব্লক ধরা পড়ার কারাবন্দি ফখরুলকে গত ১৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসার জন্য জামিন দেয়।
দুটি ব্লক থাকলেও রক্ত সঞ্চালন মোটামুটি অব্যাহত থাকায় এবং ধকল সামলানোর মতো শারীরিক অবস্থা না থাকায় ফখরুলের অস্ত্রোপচার না করার পক্ষে মত দেন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা।
সে পরামর্শ নিয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসকদের দেখিয়ে দেশে ফিরলেন তিনি।
জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী তিন মাসের আন্দোলনের প্রথমেই গত ৬ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় ফখরুলকে। এরপর থেকে কারাগারে ছিলেন তিনি।