ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ রোববার রাতে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতেও নিয়েছে।
তারা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (৩১), মাহবুবুর রহমান আরমান (২৬) ও সাইদুল ইসলাম তৌহিদ (২৬)।
গুজব ছড়ানোর আগে এর আগে অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি আইনে গ্রেপ্তার করা হয় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকেও।
তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার নাজমুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আন্দোলন নিয়ে তারা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছিল। মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফেইসবুকে লাইফ করেছে।”
গত ২ অগাস্ট রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে তথ্য প্রযুক্তি আইনে ২৯ জন ফেইসবুক ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে মামলা করে। একই আইনে আরও ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয় রোববার একই থানায়।
রোববারের মামলায় আরমান, আলমগীর ও সাইদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও খোঁজা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল।
আরমান নিজেকে ‘সাইবার এনালিস্ট’ বলে দাবি করেন জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “সাইবার জগতে সে ‘সাইবার মাহবুব’ নামে পরিচিত।
‘ফাইট ফর সারভাইবারস রাইট’ ফেইসবুক পেইজের অ্যাডমিন আরমান গ্রেপ্তারের আগে তার পাতায় এক বার্তায় বলেছেন, “আমার টিমের একজন এর করা একটি পেজ পোস্ট এর কারণে আজ আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়েছি। যেহেতু তাদের লিডার আমি নিজে, তাই দায়ভারটাও আমার। যেহেতু মামলা একটা হয়েছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবেই। তবে এটা বলতে চাই, আমি বা আমার টিম সরকার বিরোধী এনটিটি নই। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে নই! যৌক্তিক দাবিতেই সবার মতন আমরা তাদের সমর্থন করেছি। আর কিছুই না।”
সাইদুল ইসলাম ও আলমগীর নিজেদের আইডি ব্যবহার করে সহিংসতার পক্ষে ‘গুজব রটিয়েছিল’ বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তার তিনজনের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, মেমোরি কার্ড জব্দ করেছে পুলিশ।
রোববার গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সোমবার তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাইলে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এই তিনজন ছাড়াও অন্য ইউজারদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সূত্র, বিডিনিউজ২৪.কম