আ হ জুবেদঃ রুনা আক্তার কেয়া, ৪ বছর বয়স থেকে সঙ্গীতকে আপন করে নেয়া কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী পরিবারের একজন তরুণীর নাম,বাবা জামাল উদ্দিন, পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
রুনা ও তার ২ভাই, ৩বোন ও মা-বাবাসহ ৭ সদস্যের এ পরিবার প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে কুয়েতের জিলিব আল-সুয়েখের একটি ফ্লাটে বসবাস করছেন।
লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রবাসী এ তরুণী প্রতিনিয়ত বাংলা গানের চর্চাও করে চলেছেন, যদিও আরব দেশে শত প্রতিকূলতা ও বাধাবিঘ্ন, তবুও রুনা থেমে নেই সঙ্গীত চর্চা থেকে।
কুয়েতের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে রুনা আক্তার কেয়া একজন পরিচিত কণ্ঠশিল্পীর নাম, মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটির সঙ্গীতাঙ্গনে রুনার বিচরণ সর্বত্রে। বাংলার সংস্কৃতি বিশ্বাঙ্গনে তুলে ধরে এগিয়ে চলছেন এই রুনা।
কুয়েতের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে ৫ বছর বয়স থেকে বেড়ে ওঠা রুনা একেবারেই শুরুর দিকটাতে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের তালীম নিয়েছিলেন সুমন সরকারের কাছ থেকে।
আর বর্তমানে গানের ওপর নিয়মিত তালীম নিচ্ছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কেকা মুখার্জীর কাছ থেকে।
বাংলাদেশে জন্ম নেয়া রুনার লেখাপড়া শুরু কুয়েতের ইন্ডিয়ান সেন্ট্রাল স্কুলে, বর্তমানে রুনা আরব উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন।
কুয়েতে গান শেখার সেরকম সুযোগ নেই, কিন্তু যেটুকু সুযোগই আছে সেটাকে কাজে লাগিয়ে সঙ্গীত জগতে একের পর এক সুনাম অর্জন করছেন রুনা।
কুয়েতে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ২৫টি স্কুলের প্রতিযোগীকে নিয়ে ডন্বস্কো ইন্ডিয়ান স্কুল সিংগিং কম্পিটিশনে রুনা প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।
রুনার চেষ্টা, পছন্দের কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার মতো বিশ্বখ্যাতি অর্জন করতে এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে গান নিয়ে বড় একটা কিছু করার চিন্তাভাবনা।
কেয়া আক্তার রুনা কুয়েত বাংলাদেশ কমিউনিটির কাছ থেকে পেয়েছেন অনেক সম্মাননা ক্রেস্ট, প্রশংসা পত্র আর ভালোবাসা।
রুনাও কুয়েত প্রবাসীদের বিনোদনে করেছেন মুগ্ধ, রুনা দিয়েছেন -পেয়েছেন, কিন্তু রুনার স্বপ্ন বাংলা ভাষাভাষীর মানুষকে আরো বেশি কিছু দিতে।
আর সেজন্য’ই রুনা আক্তার কেয়া দেশ- বিদেশে থাকা অগণিত ভক্ত ও সকল সঙ্গীত প্রিয় মানুষের কাছে চেয়েছেন আরো ভালোবাসা ও অনেক দোয়া।