আ হ জুবেদঃ সমৃদ্ধির অর্থনীতি গড়তে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করছে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাখো প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিটেন্স।
কুয়েত প্রবাসী মীর মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম। একজন সফল প্রবাসী, রেমিটেন্স যোদ্ধা ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা একজন ব্যক্তি।
বিশ্বের ১৬২ দেশে প্রায় ১কোটি ২০ লক্ষ প্রবাসীর মধ্যে যাঁদেরকে নিয়ে সম্ভাবনার বাংলাদেশ গর্ব করে আর সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করে, তাদেরই একজন মীর মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
কুয়েত প্রবাসী মীর মাহবুবুল আলম ৩৭ বছর আগে কুয়েতে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন। ১৯৯০ সালে কুয়েতে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় তিনি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। পরবর্তীতে ফের জীবন আর জীবিকার তাগিদে কুয়েতে আসতে হয়েছিল মীর মাহবুবুল আলমকে।
মাহবুবুল আলম ১৯৯৭ সাল থেকে অদ্যাবধি কুয়েত ইউনিভার্সিটির স্টাফ ক্যাটাগরিতে অত্যন্ত দক্ষতা, সততা ও সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি জানান, প্রতি বছর বাংলাদেশে স্বল্পকালীন ছুটিতে গেলে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ তাকে পে-লিভ দিতো।
চট্রগ্রাম জেলা, রাউজান থানার মধ্যম কদলপুর গ্রামের মরহুম ডাক্তার মীর মোহাম্মদ আনিসুল হকের কুয়েত প্রবাসী ছেলে মীর মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা।
ছেলে জার্মানিতে গ্রাজুয়েশন শেষ করে চাকরি করছেন। মেয়ে চট্রগ্রাম মহসিন কলেজে অধ্যয়নরত।
কুয়েত ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত অবস্থায় বিশেষ সম্মাননা, প্রশংসাপত্র, ক্রেস্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে আর্কিটেক্ট কলেজ কর্তৃক বিশেষ কর্মদক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ সম্মাননা ও কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ সহ বিভিন্ন ভাবে প্রশংসা কুড়িয়েছেন মাহবুবুল আলম।
এছাড়াও মাহবুবুল আলমের নানা অর্জনকে তুলে ধরে স্থানীয় পত্রিকা ও বাংলাদেশী পত্রিকায় একাধিকবার খবর প্রকাশিত হয়েছে।
মাবুবুল আলম প্রায় ২৩ বছরের কুয়েত প্রবাসী জীবনের ইতি টেনে এবার দেশে যাচ্ছেন। বাকি জীবন পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে চান তিনি।