আ হ জুবেদঃ প্রবাসীরা তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত কিংবা দেশে রেখে আসা নিজের জায়গা-সম্পদ তথা ভিটেমাটি পর্যন্ত হারাচ্ছেন, এমন অভিযোগ প্রায়শই শুনা যায়।
প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্সে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে ঠিকই, কিন্তু সেই প্রবাসীদের মুখেই অনেক সময় শুনতে হয়, প্রবাসীরা দেশে থাকা কতিপয় প্রতিবেশী এবং পরিচিতজন কর্তৃক হয়রানি ও প্রতারণার শিকার।
ঠিক তেমনই একটি প্রতারণামূলক ঘটনার শিকার হলেন কুয়েত প্রবাসী মাহমুদূর রহমান।
কুয়েত প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা মাহমুদুর রহমান, পিতা মৃত ডাঃ ফজলুর রহমান,২৩৮/১ রোড গোপালগঞ্জ শহরের বাসিন্দা মাহমুদ পরিবার।
মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু তিনি দেশের চাকা সচল করতে গিয়ে, নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় পড়বেন, সেটি কখনো ভাবতেই পারেননি।
কিন্তু চরম দুর্ভাগা এ প্রবাসী কুয়েতে এক সংবাদ সম্মলেন করে ভূমি দস্যু প্রতারক চক্রের কবল থেকে রেহাই পেতে এক ধরনের আকুতি জানালেন।
সংবাদ সম্মেলনে, মাহমুদুর রহমান অভিযোগ করেন, মাহমুদ ও শোহেব আলী মোল্লা দুজন মিলে ৪দাগে বেশ কিছু জমি তাঁরা উভয়ে খরিদ করেছিলেন, কিন্তু মাহমুদ বিদেশে থাকার কারণে তার জমির দলিল সব থাকা সত্ত্বেও তহসিল থেকে পর্চার কাগজে মাহমুদের নাম বাদ দিয়ে,শোহেব আলী মোল্লা পুরো জমির মালিক হতে, প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।
কুয়েত প্রবাসী মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে জানান, শীঘ্রই তিনি দেশে গিয়ে এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নিবেন।
মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে নিজের অসহায়ত্ব ও অপারগতার কথা উল্লেখ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
কুয়েত প্রবাসী মাহমুদ, সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় প্রতিনিধি ও সরকারের সহযোগীতা কামনার পাশাপাশি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে একজন প্রবাসীর দীর্ঘ দিনের তিল তিল করে জমানো টাকার সম্পত্তিকে রক্ষা করতে সাহায্যের আবেদন করেন সরকার ও প্রসাশনের কাছে।