আ.হ.জুবেদঃ বাংলাদেশের অর্থনীতি যে কয়টি ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে তার একটি রেমিটেন্স বা প্রবাস আয়। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের উপর ভর করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও চরম বাস্তব সত্য যে, বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মৃত্যুর হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, যেসব প্রবাসীদের অর্থ প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল হচ্ছে, দেশ সার্বিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে, সর্বোপরি বর্তমানে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নতশীল দেশের কাতারে পৌছুতে পেরেছে, সেসব প্রবাসীদের প্রতি রাষ্ট্র কিংবা সরকারের সুনজর আশানুরূপ নয় কেন?
সাম্প্রতিককালে কুয়েতে প্রবাসী মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে গেছে।
এনিয়ে কুয়েত প্রবাসীরা চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি এমনই যে, অনেক প্রবাসীদের আকামার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে, খোদ নিজেই শেষ হয়ে স্বদেশের মাটিতে ফিরছেন লাশ হয়ে।
এমতাবস্থায় কুয়েত প্রবাসীদের আকস্মিক মৃত্যুর কারণ উদঘাটন খুব জরুরী হয়ে পড়েছে বলে অনেকে মনে।করেন।
এক পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০১৭ সালে কুয়েত থেকে ২১৭ জন প্রবাসী লাশ হয়ে দেশে ফিরেছেন।
এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বলছেন, সোনার ডিম পাড়া হাঁসের ডিম খাবেন, কিন্তু সেই হাঁসের যত্নে চরম অবহেলা করবেন, একেমন মানবিকতা?
প্রবাসীদের অস্বাভাবিক মৃত্যুরোধে সরকারের ত্বরিত পদক্ষেপ গ্রহণ খুবই জরুরী বলে মনে করছেন কুয়েতের প্রায় ৩ লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশীরা।