গত ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০১৭ইং রোজ শুক্রবার রাত ১০টায় ফাহাহিল এলাকার বাংলাদেশ হোটেলে কুয়েত জাতীয় পার্টি ফাহাহিল আঞ্চলিক শাখার অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবগঠিত কমিটির সভাপতি আছাদ উদ্দিন হাছানের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালিকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ্ব মাহমুদ আলি, নির্বাহী সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি -ঢাকা, সভাপতি জাতীয় পার্টি, কুয়েত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হযরত আলী মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক- জাতীয় পার্টি কুয়েত, লুতফুর রহমান লুদাই,সিনিয়র সহ সভাপতি জাতীয় পার্টি কুয়েত, সুন্দর আলি,সৈয়দ মুহিবুর রহমান, সুন্দর আলি, মো: নাসির উদ্দিন সহ সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটি কুয়েত, মো: আব্দুর রশিদ সিরাজ সহ সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটি কুয়েত, মো: ফারুক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি কুয়েত, মো: আনোয়ার সহ সভাপতি ফাহাহিল শাখা, সাইদুল হক সিনিয়র সহ সভাপতি ফাহাহিল শাখা, প্রতিমা নাথ সহ সভাপতি ফাহাহিল শাখা, জামাল উদ্দিন টিটু সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহাহিল শাখা, হারুনুর রশিদ আইন বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি কুয়েত, ফজলুল হক আহবায়ক যুব সংহতি কুয়েত শাখা, আব্দুর রব টিটু সদস্য সচিব যুব সংহতি কুয়েত শাখা প্রমূখ।
প্রধান অতিথি আলহাজ্ব মাহমুদ আলি তার বক্তব্যে বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মামলা দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও প্রত্যাহার না হওয়ায়, আমরা উদ্বিগ্ন, তিনি বলেন এখনই সময়, জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে হবে, পাশাপাশি এবিষয়টি বর্তমান সরকারকেও খুবই গুরুত্ব দৃষ্টিতে দেখতে হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক পল্লীবন্ধু হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আওয়ামীলীগ, বিএনপি জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছিল, কিন্তু আজকে তারা ক্ষমতার নেশায় অন্ধ হয়ে সাধারণ মানুষের লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় । অথচ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় চার/পাঁচ জন মানুষ প্রাণ হারানোর ঘটনায় তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আজকের দিনে অনেক মানুষের লাশ পড়লেও ক্ষমতাসিনরা ক্ষমতা থেকে সরতে চায় না । তাই এরশাদ ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় ।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি নেতৃবৃন্দরা দলীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও পল্লী বন্ধু হুসেন মোহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি করে বক্তব্য রাখেন।
শেষে নৈশভোজের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।