আওয়ামীলীগ কুয়েত শাখা একাংশের উদ্যোগে গত ২৩শে মার্চ ২০১৭ইং রোজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় কুয়েত সিটিস্থ গুলশান হোটেলে সংগঠনটির নতুন কমিটি ঘোষণা ও স্বাধীনতার উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি, মাসিক মরুলেখার সম্পাদক (আই,এম,এফ) ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ফোরামের সভাপতি আব্দুর রউফ মাওলার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোরশেদ আলম বাদলের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের সভাপতি জাহাঙ্গীর হুসেন পাটুয়ারী।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সংগঠক মোঃ আকবর হুসেন, প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম ফারুক,সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদুর রহমান মাসুম, সহ সভাপতি লুতফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক উদীয়মান তরুণ সংগঠক হুসেন মুরাদ চৌধুরী, প্রাক্তন ছাত্রনেতা মাহবুবুল হক, প্রাক্তন ছাত্রনেতা জাহিদুল হক প্রজন্মলীগ কুয়েতের সভাপতি ও জালালাবাদ এ্যাসোসিয়েশন কুয়েতের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল আল ইসলাম, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আজিজ, কবি আব্দুল মালিক,তরুণ আওয়ামী নেতা তাজ উদ্দিন, আওয়ামী নেতা আবুল বাশার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন, মাওলানা আব্দুল আহাদ, পরে চ্যানেল ATN বাংলার উদীয়মান তরুণ কণ্ঠশিল্পী আশারাফুল আলমের নেতৃত্বে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
আলোচনা সভায় মহান স্বাধীনতার উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেতৃবৃন্দরা বলেন, দীর্ঘকাল ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালির ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চূড়ান্ত স্বাধীনতা লাভের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে জাতিকে উজ্জীবিত করেছিলেন। এরপর আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতা লাভের পর বাঙালির ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ-তিতীক্ষার কথা স্মরণ করে নেতৃবৃন্দরা বলেন, তাকে মিথ্যা মামলা ও ফাঁসি দিয়ে মারার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তার আদর্শ থেকে এক পা-ও পিছু হটেননি। আদর্শে অনড় থাকাই ছিল বঙ্গবন্ধুর বড় গুণ। নেতৃবৃন্দরা বলেন, যে বাঙালি বঞ্চিত ছিল, শোষিত ছিল, নিপীড়িত ছিল, সে বাঙালি আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আজ প্রতিটি জায়গায় বাঙালি। বাঙালি বিজ্ঞানী, বাঙালি কবি-সাহিত্যিক, বাঙালি গবেষক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কিছু মানুষ থাকে যারা অন্যের ভালো দেখতে পারে না; সহজ পথে ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের ভাগ্য গড়ার চেষ্টা করে। এমন মানুষ এখনো আছে তখনো ছিল উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দরা বলেন বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানি দালালদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন, তখনো এক শ্রেণির মানুষ বিরোধিতা করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু জনগণকে নিয়ে লড়াই করেছেন।
এদিকে আলোচনা সভায় পুরানো কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে এবং পুরানো কমিটিতে যেসব নেতৃবৃন্দরা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত; তাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শেষে নৈশভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।