আ হ জুবেদঃ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রযাত্রা এবং বিজয় গৌরবের স্মারক হিসেবে প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে সশস্ত্র বাহিনী দিবস।
এদিকে কুয়েতেও ৪৮তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে দেশটির জে ডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলে বৃহস্পতিবার (২১শে নভেম্বর) সন্দ্যা ৭টায় বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিকদের সম্মানার্থে এক অনাড়ম্বর অভ্যর্থনা ও প্রীতি ভোজের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস, কুয়েত।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কুয়েতে প্রতি বছর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালন করা হয়ে থাকে, এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না।
ডিফেন্স এট্যাচী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আবু নাসেরের পরিচালনায় ও শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর চীফ অব মিলিটারি এডুকেশন মেজর জেনারেল ওয়ালিদ এবদাল লতিফ আল- সুরদি।
আরো উপস্থিত ছিলেন, কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম, কুয়েতের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, মিলিটারি এট্যাচীগন, বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিকবৃন্দ, বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিজেন্ট’র সদস্যবৃন্দ,কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশ-বিদেশের সাংবাদিকগনসহ প্রবাসী সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম বলেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সমন্বয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী’
দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নানা কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমুজ্জ্বল সশস্ত্র বাহিনী জাতির জন্য গর্ব।
৪৮তম সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদানকারী অতিথিদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অতীত স্মৃতিচারণ করেন, ডিফেন্স এট্যাচী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আবু নাসের।
বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রশংসার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর নানা কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
শেষে নৈশভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।