স্টাফ রিপোর্টারঃ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতের বাংলাদেশী অধ্যুষিত হাসাবিয়া নামক এলাকায় সোমবার রাতে একদল স্বদেশীর হামলায় অপর এক প্রবাসী বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন ।গুরুতর আহত হয়েছেন ৪ জন।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সন্দেহে কুয়েত পুলিশ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত ওই প্রবাসী বাংলাদেশী ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ যশপুর গ্রামের সাপরাশি পাড়ার হাজী আবদুল হকের ছেলে ।
এদিকে দেশটির প্রধান ইংরেজি দৈনিক আরব টাইমস পত্রিকা উপরোক্ত ঘটনার কথা উল্লেখ একটি নিউজ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুয়েত পুলিশ বাংলাদেশীদের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে।
নিহতের স্বজন ও কুয়েত প্রবাসী সূত্রে জানাগেছে, কয়েক মাস আগ থেকে কুয়েতে থাকার ভিসা-আকামা না থাকায় ঘর থেকে খুব বেশি বের হতো না আবদুর রউপ। কুয়েতের স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৮টার দিকে তার সঙ্গে থাকা আরো তিন বাংলাদেশীসহ তাকে অপর ৮-১০জন বাংলাদেশী বাসা থেকে ডেকে হাসাবিয়া শহরের ৪নম্বর সড়কের একটি বাসায় নিয়ে যায় ।
সেখানে দু-পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লোহার রড ও ছুড়ি দিয়ে তাদের তিনজনকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করে অপর বাংলাদেশীরা ।
এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই আবদুর রউপ নিহত হন । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই বাংলাদেশীর লাশ উদ্ধার করে ।
তার সঙ্গে থাকা অপর ৩জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানাগেছে, নিহতের লাশ ফরওয়ানিয়া হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে ।
এক সূত্রে জানাগেছে, আবদুর রউপ নিহত হওয়ার খবর শুনে যারাই তাকে দেখতে বা ঘটনা জানতে গেছেন তাদের অনেককেই কুয়েত পুলিশ আটক করেছে ,এর মধ্যে কয়েকজন হামলাকারীও রয়েছে বলে সূত্রে জানাগেছে ।
হামলাকারীদের সঙ্গে নিহত আবদুর রউপের পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে ।কুয়েত পুলিশের আটক অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশটির বাংলাদেশী অধ্যুষিত হাসাবিয়া এলাকায় বসবাসরত প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।