বাংলাদেশ আওয়ামী ফাহাহিল মহানগর শাখা কুয়েত কর্তৃক আয়োজিত মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২৩শে ফেব্রুয়ারী ২০১৭ইং রোজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় কুয়েতের ফাহাহিল এলাকার বাংলাদেশ হোটেলে শতাধিক আওয়ামী নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফাহাহিল মহানগর শাখা আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় ও ফাহাহিল মহানগর শাখা আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুর রহমান হিরা’র সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুয়েতে বৃহৎ অংশের আওয়ামীপন্থী যুব সমাজকে নেতৃত্বদানকারী উদীয়মান তরুণ সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কুয়েত কেন্দ্রীয় শাখার আহবায়ক ইমাম উদ্দিন বাদল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কুয়েত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মো: তৌহিদুল আলম,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কুয়েতের উপদেষ্টা শামিম আহমেদ সবুজ, জাতীয় শ্রমিক লীগ কুয়েতের সহ সভাপতি মো: নুরুল আমিন,ফাহাহিল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এস,এম ওমর ফারুক প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুরাদ চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন, মাহমুদুজ্জামান,মাঈন উদ্দিন,এনাম আহমেদ,হাবিবুর রহমান হাবিব,সাবের আহমেদ,ফাহাহিল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এস,এম ফারুক, জাতীয় শ্রমিকলীগ কুয়েত শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি মো: নুরুল আমিন প্রমুখ। 
নেতৃবৃন্দরা মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রফিক,সালাম,বরকত,জব্বার সহ নাম না জানা অনেক শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, মহান ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ‘এ আন্দোলন ছিল আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষারও আন্দোলন।
নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে এ আন্দোলনের মাধ্যমে। অমর একুশে অবিনাশী চেতনা হয়ে পরবর্তীকালে স্বাধিকার ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমাদের যুগিয়েছে অসীম প্রেরণা ও শক্তি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি বহু কাংখিত স্বাধীনতা।’
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, কুয়েত আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হওয়ার চেয়ে আমি আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠন যুবলীগকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাবো।
তিনি বলেন, কুয়েত আওয়ামী যুবলীগ মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে দ্বিতীয় শক্তিশালী অবস্থানে আছে, এটি আমাদের জন্য অবর্ণনীয় গর্বের বিষয়।
কুয়েত আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম অবলোকন করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটি আমাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, বলে যোগ করেন প্রধান অতিথি।
কুয়েতে যুব সমাজের অহংকার এই তরুণ, উদীয়মান নেতা আরো বলেন, কুয়েত আওয়ামীলীগ তিন ভাগে বিভক্ত, আমরা অনেক চেষ্টা করেও কোন্দলমুক্ত একটি আওয়ামীলীগ করতে পারিনি।
বিধায় আমরা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম পাপুলকে কুয়েত আওয়ামীলীগে সভাপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
কুয়েত আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ইমাম উদ্দিন বাদল বলেন, বিশিষ্ট এই ব্যবসায়ী আমাদের অনুরোধে কুয়েত আওয়ামীলীগে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন, তিনি কুয়েত আওয়ামীলীগে ইতিবাচক পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে ধরেছেন আওয়ামীলীগের হাল।
আমাদের বিশ্বাস নিকট ভবিষ্যতে শহিদুল ইসলাম পাপুলের নেতৃত্বে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত একটি আওয়ামীলীগ কুয়েতে প্রতিষ্ঠিত হবে।
শেষে শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল ও নৈশভোজের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
