নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কুয়েতে বাংলাদেশের নব-নিযুক্ত মান্যবর রাষ্ট্রদূত এস, এম, আবুল কালাম ০৯ আগস্ট ২০১৬ইং কুয়েতের আমিরী প্যালেস (বায়ান প্যালাসে) কুয়েতের আমীর শেখ সাবাহ্ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ্ এর নিকট তাঁর পরিচয় পত্র পেশ করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ সাবাহ্ আল-খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ্ উপস্থিত ছিলেন। দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক), প্রতিরক্ষা এ্যাটাশে, কাউন্সেলর (শ্রম) সাক্ষাতকালে উপস্থিত ছিলেন।
কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সরকারী বাসভবন থেকে মোটর শোভাযাত্রা করে বায়ান প্যালেসে যান এবং সেখানে রাষ্ট্রদূতকে আমিরি গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
সাক্ষাতকালে আমীর বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে কুয়েতে স্বাগতম জানান এবং সকল প্রকার সাহায্য ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তর ১৯৭৩ সাল থেকে বাংলাদেশ-কুয়েত ভ্রাতৃপ্রতীম দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক ও পরিচয়ের কথাও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।কুয়েতে বাংলাদেশের শ্রম বাজার সম্প্রসারনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে কুয়েতে বিদেশী শ্রম-শক্তি আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিবেন মর্মে আমীর নব-নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে আশ্বাস প্রদান করেন। কুয়েতে বাংলাদেশীদের ভূমিকা তথা ১৯৯১ সালে যুদ্ধবিদ্ধস্ত কুয়েত পুর্নগঠনে বাংলাদেশের ভুমিকাকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে আমীর আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ভবিষ্যতে দূ-দেশের সম্পর্ক আরো বিস্তৃত ও জোরদার হবে।
রাষ্ট্রদূত কুয়েতের আমিরকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন এবং রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে কুয়েতের আমীর সুযোগমতো সুবিধাজনক সময় বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত কুয়েতের আমিরকে তাঁর সাক্ষাতের সময় প্রদান ও পরিচয়পত্র গ্রহণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
বাংলাদেশ-কুয়েত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিবিধ দিক যেমন ব্যবসা-বাণিজ্য বহুমূখীকরন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সামরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ, সাংস্কৃতিক বন্ধন দৃঢ়করণ, বাংলাদেশীদের ভিসা সহজীকরণ তথা গভীরতর ও প্রসারিত কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে দু-দেশ কাজ করে যাবে বলে কুয়েতে নবনিযুক্ত এই রাষ্ট্রদূত আশাবাদ পুনঃব্যক্ত করেন।